জবির নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রকৌশল দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার সাহার বিরুদ্ধে একই দফতরের দুই সহকারী প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সহকারী প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলামের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক পোল মেরামতের জন্য ২৫ হাজার টাকা আসে। কিন্তু তাকে কাজ করতে না দিয়ে নিজের মানুষ দিয়ে কাজ করান নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার সাহা। পরে কাজটি ২০ হাজার টাকায় সম্পূর্ণ হলে বিল প্রদান করেন মাজহার। এরপর খরচ না হওয়া বাকি ৫ হাজার টাকা ফেরত চান অপূর্ব কুমার। মাজহার ওই টাকা তাকে (নির্বাহী প্রকৌশলী) না দিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে চান। বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুজনেই প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে গেলে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় অন্য একটি কাজে ওই কক্ষে ঢুকেন আরেক সহকারী প্রকৌশলী গৌতম কুমার সিকদার। এক পর্যায়ে অপূর্ব রেগে গিয়ে মাজহারকে মারতে যান। সেটা ঠেকাতে গিয়ে চড় ও ঘুষি লাগে প্রকৌশলী গৌতম কুমারের গালে। পরে আবার মাজহারকে মারতে উদ্যত হন অপূর্ব। প্রধান প্রকৌশলীর মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ঘটনার বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমার নামে মেরামত কাজের টাকা আসলেও নির্বাহী প্রকৌশলী নিজের মানুষ দিয়ে কাজটি করান। আমি শুধু তাদের কাজের বিনিময়ে বিল পরিশোধ করেছি। পরে আমার কাছে তিনি খরচ না হওয়া ৫ হাজার টাকা চান। আমি প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে টাকা জমা দিতে চাইলে তিনি রেগে যান। তিনি অভিযোগ করেন কাজটি অসম্পূর্ণ। কিন্তু কাজটি তার মানুষই করেছে। একপর্যায়ে তিন আমার উপর চড়াও হন।
এ বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী গৌতম কুমার সাহা বলেন, আমি আটকাতে গিয়ে মার খেলাম। একজন সিনিয়র প্রকৌশলীর সহকর্মীদের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার সাহা বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেন। সহকারী প্রকৌশলীরা আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং নানারকম খারাপ মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আমার সামনেই কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। পরে দুই পক্ষ অভিযোগ করছে। আমি বিষয়টি দেখছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো ওহিদুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে ঘটনার অনুলিপি এসেছে। সরাসরি অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করে দেখব। এখন বিষয়টি প্রকৌশল দফতর দেখছে।
এমটি/এসকেডি