করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে ঢাবির নীতিমালা প্রণয়ন
করোনাভাইরাসের কারণে গতবছরের ২০ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলো। তবে শিক্ষার্থীদের টিকা নেয়া শর্তে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের পর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাস খোলার আগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নীতিমালাও প্রণয়ন করেছে ঢাবি প্রশাসন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতীয় নীতিমালার আলোকে এ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. গোলাম রব্বানী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি করেছে। যা ইতোমধ্যে প্রভোস্ট কমিটিতে উপস্থাপন হয়েছে এবং কমিটি তা পাস করেছে। উপাচার্যের অনুমোদন পেলেই এ নীতিমালা অনুযায়ী চলবে করোনা পরবর্তী ক্যাম্পাস।
প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি সূত্রে জানা যায়, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ. কে. এম গোলাম রাব্বানীকে সদস্য সচিব করে এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি ছয় দফা স্বাস্থ্যবিধির আলোকে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা ও করণীয় নির্ধারণ করেছে।
নীতিমালার বিষয়ে অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, ডব্লিউএইচও ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আলোকে তৈরি করা এসব বিধিতে তিনটি বিষয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেগুলো হলো- রুমের বাইরে সার্বক্ষণিক মাস্ক পরিধান করা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, বারবার সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা। এজন্য বিভিন্ন ভবনে প্রয়োজনীয় সুবিধা রাখার কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, শুধু হল নয়, শ্রেণি কক্ষ, বিভাগ, অনুষদ, ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি, ডাইনিংসহ সবকিছু নিয়েই নীতিমালা প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মাধ্যমে এসব জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হবে, যেন কেউ আক্রান্ত না হয়। এক্ষেত্রে তিনি শিক্ষার্থীদের সচেতন ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।
এইচআর/এসএসএইচ