অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান

করোনা পরিস্থিতি এবং শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশনের হার পর্যবেক্ষণ শেষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে এ তথ্য জানান ঢাবি উপাচার্য। প্রভোস্ট কমিটির সভার সুপারিশের আলোকে ডিন কমিটির বৈঠকে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, সে রোডম্যাপ অনুযায়ী ক্যাম্পাস খোলা হবে বলে জানান তিনি।

উপাচার্য বলেন, আমাদের পূর্বের যে রোডম্যাপ ছিল সে পরিকল্পনা মোতাবেক আমরা অগ্রসর হচ্ছি। শিক্ষার্থীদের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকা কার্যক্রমের আওতায় এসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে করোনা পরিস্থিতির দিকেও আমরা লক্ষ্য রাখছি। তারপর আমরা পর্যালোচনা করে খোলার তারিখ নির্ধারণ করতে পারব।

তিনি বলেন, ১ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার যে তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে এসেছে, সেটা ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। আমরা কোনো তারিখ নির্দিষ্ট করিনি বরং বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য একটা রোডম্যাপের কথা বলেছি। আমাদের মূল পরিকল্পনা হলো ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্যগুলো নিয়ে তারপরে আমরা তারিখগুলো নির্ধারণ করব যে, কবে আবাসিক হল খুলব, কবে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হতে পারে। তারপরে একটা পূর্ণাঙ্গ সময় দেওয়া যাবে।

এদিকে, গত ২৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে একটি রোডম্যাপ বিবেচনায় নেওয়া হয়। পরদিন ২৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় ওই রোডম্যাপের সাথে একাত্মতা পোষণ করা হয়।

প্রভোস্ট ও ডিনস কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনার অগ্রগতি এবং দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতির আশাব্যঞ্জক উন্নয়ন হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী অক্টোবর  বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ সীমিত পরিসরে খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তাই যেসব শিক্ষার্থী এখনো টিকা কার্যক্রমের আওতায় আসেনি, তাদেরকে আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকা কার্যক্রমের আওতায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এইচআর/এইচকে