শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যবস্থায় করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিত করে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। 

সোমবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে টিএসসিতে এসে শেষ হয়।

ছাত্রজোটের অন্য দুই দাবি হলো : করোনার টিকা নিয়ে দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা ও শিক্ষার্থীদের সব বেতন-ফি মওকুফ করা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ। প্রায় ৫ কোটি শিক্ষার্থী চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। তারা আর্থিক-একাডেমিক-মানসিক-পারিবারিক বিভিন্ন সংকটে পড়েছে। প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী এরই মধ্যে ঝরে পড়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা বাড়ছে। কিন্তু আমরা আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করলাম সরকার শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায়নি, সহযোগিতা করেনি। হাট-বাজার-শপিং মল, গণপরিবহন সবকিছুই চলছে। বন্ধ শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মহামারি পরিস্থিতিতে কীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব ছিল সে বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা বা রোডম্যাপ ছিল না। সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখে ফায়দা হাসিলে ব্যস্ত। তারা জানে, শিক্ষা মানে জ্ঞান, শিক্ষা মানে প্রতিবাদ। তাই যতটুকু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখা যায়, ততটুকুই সরকারের লাভ।

বক্তারা আরও বলেন, সরকার গণটিকার কথা বলছে। টিকা দেওয়ার সেন্টারগুলোয় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু খুব কম সংখ্যক মানুষই তা পাচ্ছে। টিকা নিয়ে চলছে দুর্নীতি। সরকার দলীয় লোকজন টিকা নিয়ে কোথাও কোথাও বিক্রি করে দিয়েছে। চলছে স্বজনপ্রীতি আর অব্যবস্থাপনা। আমরা বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি করেছি। সরকার বলেছে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেই খোলা হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে এখন পর্যন্ত বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক রাশেদ শাহরিয়ার আগামী ২২ আগস্ট সকাল ১১টায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘রাজপথে প্রতীকী ক্লাস’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।

ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রিন্স এবং ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ।

এইচআর/এসকেডি