জুনিয়রদের নির্যাতন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের রাতভর শারীরিক নির্যাতনের অপরাধে পাঁচ শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্ত ও একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করায় আরও দুই শিক্ষার্থীকে শাস্তি দিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি খুবির জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ইংরেজি বিভাগের জুনিয়র পাঁচ শিক্ষার্থীকে সারারাত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা বিচার চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন।
বিজ্ঞাপন
একই বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বেতন-ফি কমানোসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় দুই শিক্ষকের সঙ্গে দুই শিক্ষার্থী দুর্ব্যবহার করেন। দুই শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব মো. শরীফ হাসান লিমন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শারীরিকভাবে নির্যাতন, গালিগালাজ করা, অজ্ঞাত ব্যক্তিকে দিয়ে জুনিয়রদের মারধর, স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর হুমকি দেওয়ার অপরাধে ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান রাজাকে দুই বছর ও রাজ বর্মন বিধানকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঘটনার সময় উপস্থিত থেকে নির্যাতনে উসকানি দেওয়ার অপরাধে একই বিভাগের মিনহাজুর রহমানকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার, সাবেরুল বাশার নিরবের এক বছরের জন্য সার্টিফিকেট স্থগিত এবং ফাহাদ রহমান অঝোরকে অভিভাবকসহ মুচলেকা দেওয়ার শর্তে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে দুজন শিক্ষকের পথ আটকানো, তাদের সঙ্গে অসদাচরণ ও তদন্ত কমিটির সামনে বক্তব্য দিতে অনীহা প্রকাশ করায় বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মোবারক হোসেন নোমানকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। একই অপরাধে ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমামুল ইসলামকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব মো. শরিফ হাসান লিমন বলেন, করোনা পরিস্থিতে আমরা শাস্তি দিতে চাইনি। তবে শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফাহাদ রহমান অঝোর তদন্তের বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করার আবেদনের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলোর বিরুদ্ধে কোনো শিক্ষার্থী চাইলে একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করতে পারবেন।
এএম