ঢাবি শিক্ষার্থী হাফিজের মৃত্যুর ২ মাসেও প্রতিবেদন দেয়নি কমিটি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের দুই মাস পার হলেও তদন্ত প্রতিবেদন দেয়নি কমিটি।
গত ২৪ মে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নির্দেশে সহকারী প্রক্টর লিটন কুমার সাহাকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিজ্ঞাপন
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিত, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম এল পলাশ ও মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন।
উপাচার্য দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিলেও গত ২৪ জুলাই দুই মাস পার হলেও এখনো পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার কারণ হিসেবে কঠোর বিধিনিষেধকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপাচার্যের নির্দেশে আমরা হাফিজের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরিতে তদন্ত কমিটি করি এবং এই কমিটি বেশ কিছু কাজ এগিয়েও নিয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে আমি জানি। সম্ভবত কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এখনো শেষ করতে পারেনি। আশা করছি বিধিনিষেধ স্থগিত হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী প্রক্টর লিটন কুমার সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা, কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এখন অফিস বন্ধ। তাই আপাতত কাজ বন্ধ আছে। তাছাড়া আমাদের দুজন সদস্যের বাসাও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে, তাই একসঙ্গে হওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। সেনসেটিভ বিষয় তাই অনলাইনে মিটিং করেও হবে না। বিধিনিষেধ শেষে আবার কাজ শুরু হবে।
এর আগে গত ২ জুন সন্দেহভাজন হিসেবে হাফিজুরের চার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি। ওই সময় দীর্ঘ চার ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে মাদক গ্রহণের স্বীকারোক্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার কথা ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছিলেন অধ্যাপক লিটন কুমার সাহা।
প্রসঙ্গত, নিখোঁজের ৯ দিন পর গেল ২৩ মে ঢামেকের মর্গে মেলে হাফিজের লাশ। তাকে চিহ্নিত করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
এইচআর/ওএফ