ঢাবিতে পরীক্ষা নিয়ে ভিন্ন ভাবনা ভিসি-প্রোভিসির
করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনলাইন কিংবা সশরীরে যেকোনো পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিয়ে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
অন্যদিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে হল খুলে সশরীরে পরীক্ষার নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৯ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষার বিষয়ে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে তারা এমন মতামত ব্যক্ত করেন।
উপাচার্য বলেন, ‘পরীক্ষার বিষয়ে আমাদের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেভাবেই হবে। কোনো পরিবর্তন হবে না। কিছু স্থগিত থাকা পরীক্ষা চলছে, পরীক্ষা চলমান রাখতে হবে। অনলাইনে হোক আর সশরীরে হোক। কিন্তু করোনা থাকলে শিক্ষার্থীদের মুভমেন্ট করানো যাবে না।’
অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়ার মতো সিদ্ধান্ত না নিতে বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলোকে বলা হয়েছে। যারা ইতোমধ্যে ঢাকায় এসে গেছে তাদের পরীক্ষা সশরীরে হয়ে যাবে এবং বাকিদের অনলাইনে নেবে। এটা বিভাগের ওপর নির্ভর করছে।’
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দুই ডোজ টিকা দিয়ে, হল খোলে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে আমার স্পষ্ট মতামত। এখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আনা সমীচীন হবে না। কিছু পরীক্ষা আছে যেমন, একটা ভাইভা, ব্যবহারি কিংবা দুয়েকটা পরীক্ষার জন্য আটকে আছে। তারা যদি নিজেরা করে দিতে পারে সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু সেটাও এখন ঝুঁকিপূর্ণ।’
অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের নেই। এটা সময় লাগবে, এত সহজে হবে না। অনলাইন ক্লাসেই আমাদের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৪৫ শতাংশের মত। আরও ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের বাইরে। যেখানে অনলাইন ক্লাসে এত পরিমাণ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত, তাদেরকে রেখে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া অযৌক্তিক।’
এর আগে গত ১ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের সভায় আবাসিক হল না খোলা শর্তে স্থগিত থাকা পরীক্ষাসমূহ ১৫ জুন থেকে সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইভাবে সব বর্ষের পরীক্ষা ১ জুলাই থেকে সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে বলে সভায় জানানো হয়। তবে করোনা সংক্রমণের অবনতি হলে সকল পরীক্ষা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
এইচআর/ওএফ