ঢাবি শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনতে ঋণের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আজ
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে পাঠদান চলছে। স্মার্টফোনের অভাবে এই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে যেন অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে না পড়ে, সেজন্য সুদবিহীন ঋণের জন্য আবেদন আহ্বান করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিভাগ/ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ‘সফট লোন’ পেতে শিক্ষার্থীদের তথ্য সরবরাহের জন্য পূর্বঘোষিত আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আজ রোববার (২০ জুন)।
বিজ্ঞাপন
স্মার্টফোন কেনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আর্থিকভাবে অসচ্ছল প্রায় সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থী বিনা সুদে এই ঋণ পাবেন। ঋণের আওতায় আট হাজার টাকা করে দেওয়া হবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে। ঋণের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় গত ৭ জুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালকের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আবেদন আহ্বান করা হয়। প্রাথমিকভাবে আবেদনের শেষ সময় ১৫ জুন দেওয়া হয়। পরে সেটিকে বাড়িয়ে ২০ জুন করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুন) ভারপ্রাপ্ত হিসাব পরিচালক মো. ইলিয়াছ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী ২০ জুন পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছিল, যা শেষ হচ্ছে রোববার। আর সময় বাড়ানো হবে না। এই সময়ের মধ্যেই সবাইকে আবেদন করতে হবে।
এখন পর্যন্ত কতজন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এখনো বলা যাচ্ছে না। ২০ তারিখের পর বিভাগ/ইনস্টিটিউটগুলো ডাটা জমা দিলে সঠিক সংখ্যা জানা যাবে।
এর আগে গত ৭ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালকের দফতর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সুদবিহীন ঋণের আওতায় স্মার্টফোন কেনার জন্য ঋণ প্রদানের নিমিত্তে কয়েকটি শর্তে বিভাগ/ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তথ্য সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
শর্তগুলো হচ্ছে
১) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত অসচ্ছল শিক্ষার্থী যাদের নাম ‘শিক্ষার্থীদের সফট লোন’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে কেবলমাত্র তারাই আবেদন করতে পারবেন।
২) ঋণের সর্বোচ্চ সিলিং ৮ হাজার টাকা, যা সুদ মুক্ত। এসব টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে দেওয়া হবে।
৩) শিক্ষার্থীদের জরুরি ভিত্তিতে সোনালী ব্যাংক/জনতা ব্যাংক/অগ্রণী ব্যাংকের যেকোনো একটি শাখায় নিজ নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলে স্ব স্ব বিভাগ/ইনস্টিটিউটকে জানাতে হবে।
৪) সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন কেনার ভাউচার বিভাগ/ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সফট লোন অনুমোদন কমিটির সদস্য সচিবের কাছে জমা দিতে হবে।
৫) ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নকালীন সময়ে এককালীন অথবা ৪টি সমান কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
৬) ঋণের সম্পূর্ণ টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর নামে কোনো ট্রান্সক্রিপ্ট ও সাময়িক/মূল সনদ ইস্যু করা হবে না।
৭) ১৫ জুনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সফট লোন তালিকায় নিবন্ধিত শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত Du Forms এর অন্তস্থ Student Softloan থেকে ডাউনলোড করে পূরণের পর নিজ নিজ বিভাগ/ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান/পরিচালকের কাছে পাঠাতে হবে।
এইচআর/এমএইচএস