বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিদায়ে ক্যাম্পাসে মিষ্টি বিতরণ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তার মেয়াদের শেষ কর্মদিবস ছিল রোববার (১৩ জুন)। বিদায়ের দিনেও ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। 

তার বিদায়ের দিন রোববার (১৩ জুন) রাত ৮টার পর ক্যাম্পাসে আতশবাজি ফোটানো ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। মিষ্টি বিতরণে অংশ নেওয়া কায়ছার হামিদ বলেন, এখন থেকে বেরোবি ক্যাম্পাস ‌ভিসি কলিমুল্লাহমুক্ত ক্যাম্পাস হলো। এই খুশিতে আমরা মিষ্টি বিতরণ করছি। 

মোবারক হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ভিসি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ দিনের পর দিন ক্যাম্পাসে না থাকায় নানা অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলাম। ক্যাম্পাসে তাকে পেতাম না। অফিসের বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর নিতে হলে তার জন্য অপেক্ষা করতে হতো। আমাদের নতুন ভিসি শীঘ্রই যোগদান করবে। আমরা আশা করব তার সময়ে আমাদের এমন সমস্যা হবে না।

এদিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ তার চার বছর দায়িত্ব পালনকালে সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীসহ সুধীজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকায় ভিসি বিরোধী শিক্ষকরা তার হাজিরাখাতা ঝুলিয়ে দেয়। হাজিরা খাতার তথ্য অনুযায়ী, তার ভিসি মেয়াদের চার বছরে ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন ২৪০ দিন। অনুপস্থিত ছিলেন এক হাজার ২০৭ দিন।

উল্লেখ্য, ড. কলিমউল্লাহকে বেরোবির ভিসি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয় ২০১৭ সালের ১ জুন। সে হিসেবে চলতি বছরের ৩১ মে তার ৪ বছর মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু তিনি ২০১৭ সালের ১৪ জুন ক্যাম্পাসে যোগদান করায় ২০২১ সালের ১৩ জুন ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নেন। 

শিপন তালুকদার/ওএফ