প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান ছাত্র ইউনিয়নের
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। একইসঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেট সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরোপিত ১৫ % কর বাতিল, শিক্ষাখাতে ২৫ ভাগ বরাদ্দের পাশাপাশি করোনা সংকট মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সংগঠনটির সহসাধারণ সম্পাদক খায়রুল আহসান জাহিদের সঞ্চালনায় সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু প্রমুখ।
ফয়েজ উল্লাহ বলেন, শিক্ষাখাতকে ধ্বংস করার জন্য এ বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট যদি শিক্ষার্থীবান্ধব হতো তাহলে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করা হতো। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা না করে তারা উল্টো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ১৫ % কর আরোপ করেছে। এতে প্রমাণিত হয় এ বাজেট শিক্ষার্থীবান্ধব নয় বরং শিক্ষা খাতকে ধ্বংস করার বাজেট। আমরা এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করছি। শুধু ১৫ % কর বাতিল করলে হবে না পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যারা ব্যবসায় মেতেছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীবান্ধব সংগঠন নয়। বাজেট ঘোষণা শেষ হতে না হতেই তারা এটাকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে। তাতে শিক্ষার্থীদের জন্য কী করা হয়েছে সে বিষয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। এতে প্রমাণিত হয় ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীবান্ধব সংগঠন নয়।
সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, বাজেট প্রস্তাবনায় প্রকৃতপক্ষে শিক্ষাকে পণ্য বানানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কারণ এই প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ তো বাড়েনি উল্টো গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ কমেছে। এ বাজেট আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ আর শ্রমিক লীগের বাজেট। এ বাজেটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো অংশ নেই, সাধারণ মানুষের কোনো অংশ নেই। প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসায়ীদের খুশি করার সব আয়োজন করা হয়েছে। অবিলম্বে এ প্রস্তাবিত বাজেট সংশোধন করে শিক্ষাখাতে ২৫ ভাগ বরাদ্দের দাবি জানান এ ছাত্রনেতা।
সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু বলেন, এমন সময় শিক্ষার উপর করারোপ করা হয়েছে, যখন দেশর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করতে পারবে না, দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে নামতে পারবে না। শিক্ষা খাতের দুর্নীতি ও নাজুক অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো রোডম্যাপও ঘোষণা করছে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবাই ধনী নয়, কেউ জমি বিক্রি করেও সন্তানদের এখানে ভর্তি করায়। শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব বাজেট না হওয়ায় এ বাজেট আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
এইচআর/এসকেডি