জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক বলেছেন, গবেষণায় ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উপাদান। এই দুই খাতে যদি উন্নয়ন না হয় তাতে উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র হবে না। গবেষণা ও সংস্কৃতি দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশ-বিদেশের কাছে পরিচয় করাব। আমি যদি ব্যর্থ হই তাহলে বিদায় নেব।

মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এ কথা বলেন। সেশনজট নিরসন ও পরীক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে সেশনজট তৈরি হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষবর্ষে যারা আছে তাদের আগে পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা আছে। যাতে তারা পাস করে দ্রুত চলে যেতে পারে এবং চাকরি করতে পারে। যোগদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আলোচনা করে পরীক্ষা ও সেশনজট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। খুব দ্রুত সময়েই এই সংকট নিরসন করে ফেলব বলে আমি আশা রাখি।

জবি উপাচার্য বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা খাত দিয়ে দেশে-বিদেশে একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তুলে ধরব। এখানে যাতে সংস্কৃতি, শিক্ষা ও গবেষণার মান যাতে বৃদ্ধি পায় সেগুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা থাকবে। আমি ইউজিসির গবেষণা কমিটিতে ছিলাম। তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো প্রজেক্ট দেখিনি। প্রজেক্ট না এলে বাজেট দেওয়া সম্ভব না। গবেষণা নিয়ে আমার বৃহৎ পরিকল্পনা আছে।

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পাস নিয়ে আমার পরিকল্পনা রয়েছে এবং কীভাবে দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১ জুন) চার বছরের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম সিরাজুল ইসলাম খান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক আবু হোসেন সিদ্দিক দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে এক বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদকে তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার।

২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপর ওই বছরের ১৯ মার্চ অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে চার বছরের জন্য চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। প্রথম মেয়াদ শেষে ২০১৭ সালে তাকে পুনরায় দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ১৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেন তিনি।

এমটি/এফআর