ঢাকা পোস্টের মাধ্যমে হয়ে উঠেছি সংবাদকর্মী

ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আমার পথচলা শুরু হয়েছিল প্রায় তিন বছর আগে। শুরুতেই বুঝতে পারছিলাম, ঢাকা পোস্ট শুধু একটি নিউজ পোর্টালই নয়, বরং নতুন কিছু শেখার, মাঠপর্যায়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের এবং সাংবাদিকতা দিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার এটি একটি শক্তিশালী মাধ্যম।

ঢাকা পোস্টের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে ক্যাম্পাসে পেয়েছি এক অন্যরকম পরিচিতি। যা আমাকে করেছে আরও বেশি সাহসী। শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, কর্মচারী সবাই এক নামে চিনেছে ঢাকা পোস্টের সাংবাদিক হিসেবে। যা আমার কাজের ক্ষেত্রকে করেছে আরও প্রসারিত।

এই সময়ে আমি শুধু সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনার অভিজ্ঞতাই অর্জন করিনি, বরং সংবাদকর্মী হিসেবে দায়িত্বশীলতা, তথ্য যাচাইয়ের গুরুত্ব এবং দ্রুততার সঙ্গে নির্ভুল সংবাদ পরিবেশনের দক্ষতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, কেবল শিরোনাম তৈরি করাই নয়, সংবাদের প্রতিটি শব্দের পেছনে দায়বদ্ধতার একটি বড় ভূমিকা থাকে।

গত ২০২২ সালে আগস্ট মাসে ‘৮ হাজার টাকার জন্য রাবিতে ভর্তি হতে পারছেন না প্রফুল্ল—শিরোনামে আমার করা একটি নিউজ প্রকাশ করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে সেই শিক্ষার্থীকে অনেকেই আর্থিক সহযোগিতা করেন। এরপর ওই শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেন রাবিতে। শুধু একটা ঘটনাই নয়, এরকম অনেকের জীবন পাল্টাতে ভূমিকা রেখেছে ঢাকা পোস্ট। গত ২০২৩ সালে ৫ আগস্টে ‘ক্যাম্পাসে খেলনা বিক্রি করেই সংসার ও সন্তানদের পড়ান সাবিনা—শিরোনামে আরও একটি নিউজ প্রকাশ হয়। এই নিউজও সাবিনার জীবনে কিছুটা হলেও উপকার নিয়ে এসেছে।

এভাবেই নিজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ঘটনার গভীরে গিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা, শিক্ষক, কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো তুলে ধরা এবং সেগুলোর সমাধানে ভূমিকা রাখা—এসবই আমার সাংবাদিকতার পথচলাকে আরও অর্থবহ করেছে। অনেক সময় মাঠপর্যায়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে, তবে ঢাকা পোস্টের সহকর্মীদের সহযোগিতা ও পেশাদার পরিবেশ আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করেছে। 

তিন বছরের এই যাত্রায় আমি যেমন পেশাদারিত্বের নতুন মাত্রা ছুঁয়েছি, তেমনি আমার লেখার মাধ্যমে অনেক মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে পেরেছি—যা সত্যিই পরিপূর্ণতার অনুভূতি দেয়। ভবিষ্যতে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আরও বহুদূর এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে এই পথচলা অব্যাহত থাকবে।

লেখক : জুবায়ের জিসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, ঢাকা পোস্ট

এএমকে