স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করাসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুুপুরে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সমাবেশে মিলিত হন। এরপর সেখানে গলায় দড়ি দিয়ে প্রতীকী ফাঁস নেন শিক্ষার্থীরা। 

তারা বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত সব কিছু স্বাভাবিক চলছে। অনেকের গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে পরিবারের হাল ধরার কথা, সেখানে আমরা পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক না হলে আমাদের গলায় দড়ি দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। এ সময় চার দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আগামী ১ জুন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে, স্থগিত ও আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো গ্রহণের জন্য দ্রুত রুটিন প্রকাশ করতে হবে, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডের মাধ্যমে দ্রুত সবার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে এবং করোনাকালে শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।

মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রায়হান বাদশা রিপন বলেন, দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে পড়াশুনা যাদের একদম শেষ পর্যায়ে তাদের পিঠ একদম দেয়ালে ঠেকে গেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করে তারা অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাই দিনশেষে পরিবারকে আর্থিক সার্পোট দেওয়াটা তাদের বাধ্যতামূলক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়। এভাবে বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে এসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাসগুলো অতিদ্রুত খুলে দিতে হবে।

এর আগে উপচার্য ভবনের সমানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা। বিক্ষোভ-সমাবেশে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন রাজীন, জেরিন, ইতিহাস বিভাগের মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলা বিভাগের শ্যামলী তানজিন অনু, সাথিয়া সাথী, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের হুমায়রা আঞ্জুম অন্তু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

আরএআর