বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা/ ছবি : সুমন শেখ

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে হল ও ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম, পরীক্ষা বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের সেশনজটে পড়েছেন। ফলে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে অনেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে। এই সংকট নিরসনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার বিকল্প নেই।

করোনায় শিক্ষাক্ষেত্র সম্পূর্ণ ব্যর্থ উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনার এ সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রের কোনো অর্জন নেই। পরিকল্পনাহীনভাবে চলছে দেশের শিক্ষা খাত। এখন পর্যন্ত পাঁচবারের অধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পরিবর্তন করেছে কিন্তু খুলতে পারেনি এবং কোনো প্রস্তুতির কথাও জানাতে পারেনি। সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এ দেশের শিক্ষা খাত।

হল-ক্যাম্পাস না খুললে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশাসন আমাদের জীবন নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। আমাদের শিক্ষাজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শিক্ষামন্ত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি অনতিবিলম্বে হল-ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া হোক। নাহলে হাফিজের মতো মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে এর দায় আপনাদের নিতে হবে। অনতিবিলম্বে ক্যাম্পাস খুলে না দিলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে গিয়ে প্রশাসনকে বাধ্য করব।

ঢাবি প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, টিএসসিতে বহিরাগতরা আড্ডা দিচ্ছে, বন্ধ করতে পারেননি, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি, একজন শিক্ষার্থীর মরদেহ পড়ে আছে আপনারা জানেন না! আপনার জানেন কী? আমাদের প্রতি আপনাদের দায়িত্ব নেই? আপনারা দায়িত্ব পালন করতে না পারলে প্লিজ পদত্যাগ করুন।

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে মানববন্ধনের সঞ্চালক আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের কর্মসূচি থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের আন্দোলন আজ শেষ নয়। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। শিক্ষামন্ত্রীর ব্রিফিং শেষে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।

এইচআর/এফআর