জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হকসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তের হামলা ও নানাবিধ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জবি শাখা ১১ দফা দাবি পেশ করেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি পেশ করা হয়।

দাবি সমূহ হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হকের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত পূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘটিত হামলার ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা টিম গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি হতে বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সংলগ্ন অবৈধ বাস ও লেগুনা স্ট্যান্ড অপসারণ করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজের দুর্নীতি তদন্তপূর্বক অপরাধীদের চিহ্নিত করতে হবে এবং চলমান টেন্ডার বাতিল করে সব ধরনের টেন্ডার সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে হবে; প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তির আওতায় আনতে হবে; কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সংস্কার ও সম্প্রসারণ করতে হবে; মেডিকেল সেন্টার সম্প্রসারণ ও ২৪/৭ সার্ভিস চালু করতে হবে; জকসু নির্বাচনের পরিকল্পনা শিক্ষার্থীদের নিকট প্রকাশ করতে হবে; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস টাইম নিশ্চিত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ত্রি-বার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও শিক্ষার্থীদের কাছে পেশ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান প্রশাসন দাবিসমূহ পূরণ করতে ব্যর্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের নিয়ে সম্মিলিত কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ আশিকুল ইসলাম এবং শাখার সহ-সভাপতি মো. মোফাসসেল হোসেন সৈকতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এমএল/এমএ