বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২০২৫ সেশনের জন্য এক বছর মেয়াদি নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন এই কমিটিতে শাবিপ্রবি শাখার সদস্যদের ভোটে সভাপতি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তারেক মনোয়ার। একইসঙ্গে শিবিরের সদস্যদের পরামর্শের ভিত্তিতে পুনরায় শাখা সেক্রেটারি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বাংলা বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা তুহিন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

জানা যায়, ৬ জানুয়ারি সিলেট নগরীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে শাখার সদস্যদের নিয়ে সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাক্ষরিত ব্যালট পেপারের মাধ্যমে সদস্যরা প্রত্যক্ষভাবে ভোট দেন। সেখানে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তারেক মনোয়ার। শাখার নতুন সভাপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান কেন্দ্রীয় সভাপতি। সমাবেশে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে নতুন এই কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারিকে দিয়েই শাবি ছাত্রশিবিরের কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

নতুন নির্বাচিত সভাপতি তারেক মনোয়ার বলেন, পুনরায় সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে আগামী বছরের জন্য শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। আমি যেন আমার এই দায়িত্ব একাগ্রতার সঙ্গে পালন করতে পারি এজন্য সবার কাছে দোয়া ও আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি।

তিনি বলেন, ছাত্রশিবির সবসময়ই শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে নৈতিক জায়গা থেকে কাজ করে আসছে। আমরা সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, গবেষণা ও সুস্থ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদেরকে সৎ, দক্ষ ও নৈতিক মান উন্নয়নের জন্য কাজ করার চেষ্টা করবো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

সেক্রেটারি মাসুদ রানা তুহিন বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে সুস্থ-সুন্দর ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করতে চাই। যেখানে কোনো হানাহানি থাকবে না। শিক্ষার্থীরা নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ মনে করবে। শিক্ষার্থীদের মেধা ও নৈতিক সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অর্জনের জন্য ছাত্রশিবির অতীতের মতো কাজ করতে চায়।

জুবায়েদুল হক রবিন/এএমকে