পাঁচ দফা দাবিতে রুয়েট শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এসময় তারা পাঁচ দফা দাবি জানান।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুয়েটের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ভদ্রা হজর মোড় এলাকায় মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় সাতজনকে আসামি মামলা দায়ের করা হলে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের একদিন পরে তারা আদালত থেকে জামিন পান।
আরও পড়ুন
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- হামলার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে এই মুহূর্তে গ্রেপ্তার করে দ্রুততম সময়ে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আটক আসামিদের রিমান্ডের বদলে জামিন ও অন্যান্য আসামিদের ধরতে না পারার বিষয়ে সুস্পষ্ট জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। রাজশাহীর আবাসিক এলাকাগুলো অস্ত্র, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে। অস্ট্রয় মোড়, মোন্নাফের মোড়-সহ রুয়েট এর আশপাশে এ সমস্যার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রুয়েট ও এর আশেপাশের এলাকাগুলো চুরি, ছিনতাই মুক্ত করতে হবে। দোষীদের বিচার এবং হারানো মালামাল জব্দের ব্যবস্থা করতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে রুয়েট এর আশেপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহল নিশ্চিত করতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তালাইমারীতে পুলিশ বক্স-এর ব্যবস্থা করতে হবে।
রুয়েট শিক্ষার্থী শাহিবা জুননুরাইন সেবা জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর ঘটে যাওয়া গর্হিত ঘটনার প্রেক্ষিতে দোষীদের বিচারের দাবিতে এবং রুয়েট ক্যাম্পাস ও এর আশেপাশে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য বন্ধের দাবিতে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
রুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সোনালি বলেন, গ্রেপ্তারের একদিন পর আসামি দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ যতক্ষণ দৃশ্যমান কার্যক্রম না দেখাতে পারবে, ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে। বাকি আসামিদের আজই গ্রেপ্তার করতে হবে।
চন্দ্রিমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, আসামিরা সবাই জামিন নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা সড়কে রয়েছে।
শাহিনুল আশিক/এমএসএ