বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী খালেদ হাসানের নিখোঁজ থাকা চারদিনের কোনো কিছুই সম্পূর্ণ মনে নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।

আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি। এ সময় তার সাথে তার বাবা লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন। 

খালেদ বলেন, আমার আবছা মনে আছে সুনামগঞ্জের একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে আমাদের গাড়ি থামে। এ সময় আমার সাথে চারজন ছিল। পরে আমি পঞ্চগড় গিয়ে গরুর মাংস দিয়ে ভাতও খেয়েছি বলে মনে আছে। কিন্তু কোনোকিছুই স্পষ্ট খেয়াল করতে পারছি না। এরপর আমি বরিশালে নিজেকে খুঁজে পেয়েছি। সেখান থেকে বাসে উঠে সায়েদাবাদ নেমে হলে আসি। 

ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য সবার দৃষ্টি ফেরাতে এতো দিন আত্মগোপনে থাকার অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে খালেদ বলেন, ডাকসু নিয়ে এখনও আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি দাঁড়াবো কি না সেটি এখনও ঠিক করিনি। তবে যদি দাঁড়াই তার জন্য আমাকে এ ধরনের পথ বেছে নিতে হবে এমনটি আমার মনে হয় না। তবে ডাকসু নিয়ে আমার এখনও কোনো প্ল্যান নেই।

এ সময় খালেদের ওপর ‘জিনের আসর’ থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তার বাবা। এর আগেও দুয়েকবার খালেদ এ রকম নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন তার বাবা। সর্বশেষ খালেদ নবম বা দশম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় এমন পাঁচ ছয়দিনের জন্য নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বলে উল্লেখ করেন খালেদের বাবা৷ 

লুৎফর রহমান বলেন, ৯ম বা ১০ম শ্রেণিতে থাকাকালীন সে একবার এরকম নিখোঁজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে কয়েকদিন পরে তাকে পাওয়া যায় কিন্তু এই বিষয়টি আমরা খালেদকে জানাইনি। 

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে খালেদের বাবা জানান, সে বর্তমানে মানসিক ও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। আগামী শনিবার আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর খালেদের মানসিক অবস্থার বিষয়ে আরও জানা যাবে। 

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খালেদ নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় নিজ হলে ফিরে আসেন। এরপর দু’দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে তার নিখোঁজের বিষয়ে বিস্তারিত বলেন। 

কেএইচ/এনএফ