ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থি ৫ জন শিক্ষককে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান বিধি মোতাবেক তারা আর সদস্য থাকার ‘যোগ্য’ নন।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ ল রিভিউ  কমিটির দেওয়া সুপারিশ তুলে ধরেন।

সিন্ডিকেট সদস্য থেকে বাদ পড়া পাঁচজন শিক্ষক হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক আবু হোসাইন মোহাম্মদ আহসান, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরীফ উল ইসলাম ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহিন মোহিদ।

এর আগে গত ১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মনোনীত ৩ জন সিন্ডিকেট সদস্যকে পরিবর্তন করা হয়।  

প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, যারা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সিন্ডিকেটে নির্বাচিত হয়ে আসেন, তাদেরকে প্রশাসন বাদ দিতে পারে না। তবে বিগত বছরগুলোতে নিপীড়নের-নির্যাতনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ছিল। এজন্য আমরা সিন্ডিকেট সদস্যদের বিষয়ে আইনি মতামতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ল রিভিউ কমিটি'র কাছে পাঠাই। 

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় 'ল রিভিউ কমিটি' বেশ কিছু বিষয় পর্যালোচনা করে একটি ফলাফল দিয়েছে। সিন্ডিকেটে ডিন ও প্রভোস্টদের প্রতিনিধি হিসেবে দুজন নির্বাচিত হয়ে আসেন। এগুলো প্রতিনিধিত্বশীল পদ। যেহেতু সংশ্লিষ্ট দুই সদস্য তাদের ডিন ও প্রভোস্ট থেকে পদত্যাগ করেছেন, তাই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তারা আর বৈঠকে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।

তিনি বলেন, এছাড়া অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক পদমর্যাদা থেকে একজন করে সিন্ডিকেটে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকেন। তবে সংশ্লিষ্ট সদস্যরা পদোন্নতি পেয়ে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। ফলে তারা আর নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির প্রতিনিধিত্ব করছেন না। সে কারণে তারা সিন্ডিকেট বৈঠকে অংশ নেওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

তিনি আরও বলেন, তবে অধ্যাপক ক্যাটাগরির প্রতিনিধি এখনো যেহেতু তার স্বপদে বহাল আছেন, তাই তিনি প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন। শুণ্যপদগুলো নির্বাচনের পর পূরণ হবে।

কেএইচ/এমএসএ