মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করা হলে ভারতের গলা চেপে ধরা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রনেতা জালাল আহমেদ। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 

এ সময় তারা- ‘সীমান্তে হত্যা কেন, দিল্লি তুই জবাব দে’; ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’; ‘মোদীর আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

জালাল আহমেদ বলেন, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে চেয়েছে। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানকে ভারত মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। ভারত ২০০৯ সালে ফেলানীকে হত্যা করেছিল। এরপর শতশত বাংলাদেশি নাগরিককে তারা হত্যা করার পরেও আওয়ামী লীগ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ভারতকে বলতে চাই আপনাদের চারদিকে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান। সুতরাং আমাদের চারদিকে আছেন বলে হুমকি দিতে চাইলে, মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে আপনাদেরও গলা চেপে ধরা হবে। 

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ভারত প্রতিবেশী রাষ্ট্র হলেও তারা সবসময়ই বাংলাদেশের সঙ্গে প্রভুর মতো আচরণ করার চেষ্টা করেছে। তারা যে সময় আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করেছে সে সময় আর নেই। গত ১৬ বছর ভারতকে যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে তা অন্য কোনো সময় দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, ভারতের নিউজ মিডিয়াগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মিডিয়াকে এই গুজব প্রতিরোধে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। ভারতের মিডিয়া সৃষ্ট গুজবের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। 

সমাবেশে ইমরান আল নাজির, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াছিন অরাফাত, সাবেক ছাত্রনেতা শামীম রেজা প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। 

কেএইচ/এমজে