ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের
চট্টগ্রামে কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে গলা কেটে হত্যায় জড়িত থাকায় ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে একে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এমন দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বন্ধনের এই ভূমিতে ইসকন দিনে দিনে রাক্ষসের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। অথচ এই দেশের মানুষ প্রতিটি সংকটে নাগরিক হিসেবে হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের পাশে দাঁড়াতে কুণ্ঠাবোধ করেনি কখনো। বিনিময়ে এরা অকৃতজ্ঞ ও দেশদ্রোহী আচরণ প্রদর্শন করা শুরু করেছে। এই সংগঠনকে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য মন্দির পাহারা দিয়েছিল, বন্যায় মাথায় করে খাবার-ত্রাণ তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল। বিপরীতে তারা ভারতের হয়ে এই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের মূলহোতা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করায় আজকে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করার সময় হামলা চালিয়ে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে চট্টগ্রামের এক আইনজীবীকে হত্যা করেছে।
ইসকনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর এই দুঃসাহস তারা কোথায় পায় এটা খুঁজে বের করতে হবে। খুনিকে বিচারের আওতায় আনার সঙ্গে সঙ্গে এই সংগঠনের সকল ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স জারি করতে হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ইসকনের অনুসারীরা চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। একপর্যায়ে তারা আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে তুলে নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীত পাশের রঙ্গম টাওয়ারের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তারা পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়ান এবং আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর করেন। আদালত চত্বরে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলার ঘটনায় ৭-৮ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
কেএইচ/এমজেইউ