কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কলা অনুষদের ১২ বিভাগের ১৩ মেধাবী শিক্ষার্থীকে ‘ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- দর্শন বিভাগের মো. হাইরুল ইসলাম (সিজিপিএ-৩.৪১) ও শান্তা খাতুন (৩.৪১), ইতিহাস বিভাগের খালিদ হাসান (৩.৫১), ইংরেজি বিভাগের সাকিব আহমেদ (৩.৬০), বাংলা বিভাগের মো. মাজহারুল ইসলাম (৩.৬৩), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের জোহরা আক্তার (৩.৬৩), আরবি বিভাগের মো. আবু তৈয়ব (৩.৮৩), ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের যোবায়ের আলম (৩.৭৮), সংগীত বিভাগের অভিনব সরকার কাব্য (৩.৭৫), নাট্যকলা বিভাগের ফাহিমা খাতুন (৩.৬৪), ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের লিমা খাতুন (৩.৭৮), সংস্কৃত বিভাগের সোনিয়া খাতুন (৩.৫৮) এবং উর্দু বিভাগের রেজাউল করিম (৩.৫২)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, কোনো অ্যাওয়ার্ডই ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এর পেছনে বহু মানুষের অবদান থাকে। পরিবার, রাষ্ট্র ও সমাজের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। পুরস্কার পাওয়া আনন্দের, কিন্তু এর সঙ্গে দায়িত্বও বেড়ে যায়। নাগরিক হিসেবে যদি সেই দায়িত্ব অনুভব না করি, তবে পুরস্কারের মূল্য থাকে না।

সভাপতির বক্তব্যে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হুসাইন বলেন, তোমরা গর্বিত বাবার গর্বিত সন্তান। এই অ্যাওয়ার্ড তোমাদের লেখাপড়ার প্রতি উৎসাহ দেওয়ার জন্য। মনে রেখো, প্রতিষ্ঠিত হতে হলে পরিশ্রম করতেই হবে। যারা আজ ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছ, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ—সৎ পথে থেকে পরিশ্রম করে নিজের সাধ্যমতো এগিয়ে যাও। আল্লাহ পরিশ্রমীদের রিজিকের ব্যবস্থা করেন। মেধাবী ও পরিশ্রমী হয়ে দেশ ও জাতির গর্বিত নাগরিক হও।

কলা অনুষদের অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মীর মেহবুব আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন— উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মো. ফরিদ উদ্দীন খান। 

এ সময় অন্যদের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার, কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ফজলুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের কয়েকশত শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

জুবায়ের জিসান/এমএ