বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলামের নিয়োগ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে তাকে দেওয়া বেতন ও ভাতা বাবদ অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশিদের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ নিয়োগ বাতিল করা হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, গত ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষা ছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে প্রভাষক (অস্থায়ী) পদে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে ওই শিক্ষকের নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলির ০১ নম্বর শর্ত অনুযায়ী যে শিক্ষকের শিক্ষা ছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তিনি শিক্ষা ছুটি শেষে ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিভাগে যোগদান করেছেন। বর্তমানে উক্ত বিভাগে কোনো শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে না থাকায় এই শিক্ষা ছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে প্রভাষক পদের নিয়োগ বাতিল করা হলো। এ আদেশ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

তাতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বেতন ও ভাতা বাবদ নেওয়া ৬২ হাজার ৩৭৭ টাকা অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

প্রসঙ্গত, গত বছর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক হিসেবে একটি স্থায়ী পদ ও একটি অস্থায়ী পদের বিপরীতে সীমা আক্তার ও মনিরুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগের সময় যোগ্য প্রার্থীকে না ডাকা, রাজনৈতিক উচ্চ মহলের সুপারিশে নিয়োগসহ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি এ নিয়োগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শিপন তালুকদার/এফআরএস