যৌন হয়রানির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. এনামুল হক। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ৫৩৪তম সিন্ডিকেট সভার ৭৯নং প্রস্তাবে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহা. এনামুল হককে ৫২৫তম সিন্ডিকেট সভার ৩৮নং সিদ্ধান্তে দুই বছরের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল বিগত প্রশাসন। সরকার পরিবর্তনের পর অধ্যাপক এনামুল হককে পাঠদানে ফেরাতে দফায় দফায় অবস্থান কর্মসূচি ও আন্দোলন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন এ বিষয়ে একটি রিভিউ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও সুপারিশের ভিত্তিতে গতকাল (মঙ্গলবার) ৫৩৪তম সিন্ডিকেটে নিম্নলিখিত দুটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

১) গত ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার ৪৮ নং সিদ্ধান্ত রহিত করা হলো এবং উক্ত তারিখ হতে প্রফেসর ড. মোহা. এনামুল হককে যৌন হয়রানির অভিযোগ থেকে অব্যহতি প্রদান করা হলো।

২) প্রফেসর ড. মোহা. এনামুল হক সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

সত্যের বিজয় হয়েছে জানিয়ে ভুক্তভোগী অধ্যাপক ড. মোহা. এনামুল হক বলেন, ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া দলের পরিচয়ে আমাকেসহ বিভাগের সকল শিক্ষকের ওপর মানসিক টর্চার করেছেন। অবৈধভাবে আমার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে নিজেই কমিটি গঠন করেছেন এবং সেখানে তারই লোকজন ছিল। বিগত স্বৈরশাসকের প্রশাসন কানিজের পক্ষ নিয়ে আমাকে দুই বছরের জন্য বিভাগের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করে। বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমার পক্ষ নেওয়ায় তাদেরকেও পরীক্ষার খাতায় মার্কস কম দেওয়া হয়েছে। তবে এখন সত্যের বিজয় হয়েছে। 

মাহবুবা কানিজ কেয়া ও তদন্ত কমিটির সদস্যদের বিচার চেয়ে তিনি বলেন, তারা সবাই আমার সাথে অন্যায় করেছেন, কারণ আমি বিএনপির আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করতাম। তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্ত না করেই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তদন্তে গাফিলতি করার অভিযোগে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক।

উল্লেখ্য, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবা কানিজ কেয়ার সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এনামুল হককে দুই বছরের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২৫তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

জুবায়ের জিসান/আরএআর