সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার— স্লোগানটি দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছিল। এটি কোনোভাবেই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইঙ্গিত করে দেওয়া হয়নি। এমন দাবি করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ বিষয়ে জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠক রাকিব হাসান বলেন, স্লোগানটি ছিল মূলত ফ্যাসিবাদ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বিগত ছয় বছরে তারা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি। প্রকল্পের মেয়াদ চারবার বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারেনি। বরং তারা নিজেদের পকেট ভারী করাসহ রীতিমতো পুকুর চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। স্লোগান দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে, উপদেষ্টা নাহিদকে কিংবা অন্তর্বর্তী সরকরের বিরুদ্ধে নয়।

তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় হলো সাবেক স্বৈরাচার সরকারের প্রেতাত্মারা এটা নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে; সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনারা আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবেন না। আমরা দেশের স্বার্থে স্বৈরাচার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ গড়ে তুলব।

এ সময় আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ফেসবুকের কিছু পেজে বিষয়টি ভুলভাবে প্রচার করা হচ্ছে। মূলত স্বৈরাচারী কিছু দালাল এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। 

গত সোমবার আবাসন সংকট সমাধানের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শিক্ষা উপদেষ্টা নাহিদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে এবং এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা দেখা যায়।

পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, তারা নাহিদকে নয় বরং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছিলেন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপদেষ্টা নাহিদকে সমর্থন করে হ্যাশ ট্যাগে ‘উই আর নাহিদ’ পোস্ট দিতে দেখা যাচ্ছে।

এমএল/এমজে