অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন দুই উপদেষ্টা। তাদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে/

* উপদেষ্টা ফারুকী-বশির শপথ নেওয়ায় সমালোচনার ঝড় 
* উপদেষ্টা পরিষদে নেই উত্তরবঙ্গের কেউই
* শেখ মুজিবের ছবি সম্বলিত দরবার হলে শপথ 
* দ্বিতীয় বিপ্লবের কথা ভাবছেন অনেক সমন্বয়ক

ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই উপদেষ্টা পরিষদে তৃতীয় দফায় গতকাল ১০ নভেম্বর যুক্ত হয়েছেন নতুন তিনজন। এ নিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে।

নতুন তিন উপদেষ্টার শপথ গ্রহণের পর পূর্ববর্তী সময়ে তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এমনকি শপথ নেওয়া এই উপদেষ্টাদের নিয়ে সন্তুষ্ট নন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। 

শপথ নেওয়া নতুন তিন উপদেষ্টা হলেন- ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

তাদের শপথের পর দুই উপদেষ্টাকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি উপদেষ্টা নিয়োগে আঞ্চলিক বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে বলেও সমালোচনা চলছে।

সমালোচনার মুখে পড়া দুই উপদেষ্টার একজন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অতীতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা ও শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার নানা ছবি ও লেখা ফেসবুকে ভাইরাল হতে শুরু করে। আরেকজন ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আফিল উদ্দিনের ভাই। তাই তাকে নিয়ে আপত্তি দেখা দিয়েছে।

এদিকে, উত্তরবঙ্গ তথা রংপুর ও রাজশাহীর ১৬ জেলা থেকে এখন পর্যন্ত কোনো উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থী-সাধারণ মানুষ। 

আরেকটা বিষয় নিয়েও বেশ সমালোচনা চলছে- শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত দরবার হলে নতুন উপদেষ্টারা কেন শপথ পাঠ করলেন সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যদিও পরে সেখান থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অপসারণ করা হয়। 

নতুন তিন উপদেষ্টা নিয়োগের পর রোববার রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া, ১১ নভেম্বর বিকেলেও একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সমাবেশে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ এবং উত্তরবঙ্গের মানুষের প্রতি শেখ হাসিনার পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও বৈষম্য করছে উল্লেখ করে সেখান থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি জানানো হয়। 

এর আগে রোববার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘শুধু একটা বিভাগ থেকে ১৩ জন উপদেষ্টা! অথচ উত্তরবঙ্গের রংপুর, রাজশাহী বিভাগের ১৬টা জেলা থেকে কোনো উপদেষ্টা নাই! তার ওপর খুনী হাসিনার তেলবাজরাও উপদেষ্টা হচ্ছে!’

জানা যায়, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিভিন্ন সময় তার লেখায় ও ফেসবুক পোস্টে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন। যার ফলে গত ১৫ বছর তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ আস্থাভাজন হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। শুধু তিনি নন, তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশাও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় নানা সুবিধা গ্রহণ করেছেন। যার ফলে তার শপথের পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

গত ৭ আগস্ট নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘আমি মনে করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর একটা জরুরি কাজ হবে ৩২ নম্বরের বাড়ির সংস্কার কাজ শুরু করা। এই বাড়িকে আগের চেহারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং এ বাড়ি সম্পর্কিত বিভিন্ন ছবি, স্মৃতিস্মারক যা যা পাওয়া যায় তা দিয়ে জাদুঘর আবার চালু করা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের উচিত হবে নিজেই বাড়িটা ভিজিট করা। তিনি এই বাড়ি ভিজিট করলে একটা সিগনিফিকেন্স তৈরি হবে, একটা বার্তা দেবে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় বীরশ্রেষ্ঠদের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে। এগুলো সব ঠিকঠাক করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশে মন্দির থাকবে, মসজিদ থাকবে, প্যাগোডা থাকবে, গির্জা থাকবে, বোরকা থাকবে, জিনস থাকবে। সবকিছুই থাকবে বহুজনের এই সমাজে।’

২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে ধন্যবাদ জানিয়ে ফারুকী লেখেন, ‘ধন্যবাদ Zunaid Ahmed Palak ভাই, জনাব ববি সিদ্দিকী, অ্যান্ড আওয়ার ভেরি ওউন Ashraful Alam Khokan। প্রত্যেক সরকারের ভেতর অনেক সরকার থাকে। আওয়ামী লীগ সরকারের ভেতর যে তরুণ শক্তি আছে, তাদের কারণেই বহুবার হোঁচট খেয়েও একেবারে আশা হারিয়ে ফেলি না। এই শক্তি বেড়ে উঠুক শত গুণ, এই শক্তি যুক্তির দুয়ার খোলা রাখুক সদা, সমাজের দিকে চোখটা মেলে রাখুক।’

এ ছাড়া, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি তার সবচেয়ে প্রিয় হিসেবেও উল্লেখ করে বিভিন্ন সময়ে পোস্ট দেন তিনি। এই বইটি সব রাজনীতিবিদদের বিনামূল্যে প্রদান করে পড়ার ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা-ও মন্তব্য করেন তিনি। তা ছাড়া, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বিরুদ্ধে সাবেক মেয়র আনিসুল হকের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যায়।

শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ ফজিলাতুন নেছা- আমার মা’ প্রবন্ধের প্রশংসা করে একটি রিভিউ পোস্ট করেন ফারুকী। সেখানে ফারুকী উল্লেখ করেন, ‘ইতিহাস বেশিরভাগ সময় বিজয়ী এবং পুরুষের চোখেই লেখা হয়। শেখ হাসিনার এই লেখাটায় একটা ভিন্ন জানালা দিয়ে আমাদের ইতিহাসটাকে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। খুবই ইন্টারেস্টিং পার্সপেক্টিভ। পড়তে পড়তে অনেক জায়গায় আমার নিজের মাকে দেখতে পেয়েছি, নানাকে দেখতে পেয়েছি, মায়ের সংগ্রাম দেখতে পেয়েছি, বাবাকে দেখতে পেয়েছি। পার্থক্য হইলো, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কারণে কয়দিন পরপর জেলে যাইতেন আর আমার বাবা ব্যবসায় ধরা খাইতেন। দুই সময়েই স্রোতের বিরুদ্ধে মুখে সিনা টান করে তরী সামলাইতেন ‘মা’।  বাঙলার বধূ এবং মায়েদের ইতিহাস বোধ হয় সবকালেই এক। দল-মত-নির্বিশেষে পড়তে পারেন।’

শুধু তাই নয়, ফারুকী তার ছবি-নাটকে পরকীয়া, এলজিবিটিকিউয়ের প্রচার ও প্রসার ঘটাতে কাজ করেছেন বলেও অনেকে অভিযোগ করছেন।

অন্যদিকে, সেখ বশির উদ্দিন হলেন সেখ আকিজ উদ্দিনের সন্তান এবং একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি আকিজ-বশির গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আফিল উদ্দিনের ভাই হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছে সমালোচিত। আফিল উদ্দিন ২০০৯ সাল থেকে টানা চারবার আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে জয়ী হয়েছেন।

উপদেষ্টা ফারুকী ও বশিরের শপথ প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ একটি বিখ্যাত উদ্ধৃতি তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন- ‘যুদ্ধ শুরু হলে রাজনীতিবিদেরা অস্ত্র দেয়, ধনীরা রুটি দেয় আর গরিবেরা তাদের ছেলেদের দেয়। যুদ্ধ শেষ হলে রাজনীতিবিদেরা হাত মেলায়, ধনীরা রুটির দাম বাড়ায় কিন্তু গরিবেরা তাদের ছেলেদের কবর খোঁজে।’

নতুন ৩ উপদেষ্টার নিয়োগ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড ফাজলামো না, এটা বোঝার মতো কাণ্ডজ্ঞান থাকা উচিত। ফারুকী উপদেষ্টা হওয়ার কোনো যোগ্যতা রাখেন না। এতটা বছর লীগের আস্থাভাজন থেকে কাজ পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে গেছেন তিনি। ফ্যাসিবাদ একদিনে তৈরি হয় না, চুপ থেকে সমর্থন করার মধ্যেও ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়। এ রকম প্রমাণ আরো অনেকের বিরুদ্ধেই আছে। প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনার জামিন সংক্রান্ত ভেতরের খবর আলাপ করলে অনেকের কাপড় খুলে যাবে।’

এদিকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত দরবার হলে উপদেষ্টাদের শপথের ছবি ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন নেটিজেনরা।

শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টানিয়ে শপথ পাঠের বিষয় তুলে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা সারাদিন লীগ তাড়াবো আর বলবো, মুজিববাদ, মুর্দাবাদ। আর তারা মুজিবের ছবি পেছনে টানিয়ে করে শপথ পাঠ।’

পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ছবি না সরানোর কারণে দুঃখপ্রকাশ করে ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন। তিনি বলেন, ৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে অপসারণ করা হয়েছে। আমাদের জন্য লজ্জাজনক ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে ওনার ছবি সরাতে পারলাম না, ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু, যতক্ষণ মানুষের মধ্যে জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকবে ততদিন তাকে কোথাও দেখা যাবে না। 

তিনি বলেন, ‘অ-গণতান্ত্রিক ৭২ এর সংবিধান থেকে শুরু করে দুর্ভিক্ষ, কোটি কোটি টাকা পাচার এবং হাজার হাজার ভিন্নমত ও বিরোধীদের এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংসহ শেখ মুজিব ও তার কন্যা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি যা করেছেন তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে। তাহলেই আমরা ৭১-পূর্ববর্তী শেখ মুজিবকে নিয়ে কথা বলতে পারব। ক্ষমা ও ফ্যাসিবাদীদের বিচার ছাড়া, কোনো প্রকার পুনর্মিলন হবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদের ক্ষমতায় বসানো হয়েছে, যা জুলাই বিপ্লবের চেতনা বিরোধী। এটা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। অন্যথায় ছাত্র-জনতা দ্বিতীয় বিপ্লবের পথে হাঁটতে বাধ্য হবে। 

তিনি বলেন, দেশটা কি শুধু চট্টগ্রাম-বরিশালের মানুষ শাসন করবে? উত্তরবঙ্গের মানুষ কি অশিক্ষিত, অযোগ্য? একজন মানুষও কি উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায় নেই যিনি উপদেষ্টা হতে পারবেন? তাহলে কেন তাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে? এজন্যই কি আমরা স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি? উত্তরবঙ্গের মানুষ ব্যতীত তাদের কষ্ট কেউ বুঝবে না। তাই অবিলম্বে উত্তরবঙ্গ থেকে এক বা একাধিক উপদেষ্টা নিয়োগের জোর দাবি জানাই।

উপদেষ্টাদের শপথের পরেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা এ নিয়োগকে অভ্যুত্থানের চেতনাবিরোধী বলে পোস্ট করতে থাকেন। 

সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘যে স্বপ্ন ধারণ করে হাজারো শহীদ জীবন বিলিয়ে দিয়েছে, তাদেরকে দেওয়া আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যে কারো বিরোধিতা করতে আমি দ্বিধা করব না, বরং এ বিরোধিতা ন্যায্য এবং দায়িত্বও বটে। স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রয়োজনে আরেকবার লড়াই হবে, জীবন বাজি রাখা হবে।’

আব্দুল কাদের বলেন, ‘অথচ কথা ছিল, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পূর্ণ বিলোপ; কিন্তু কী হচ্ছে? কারা এসব করাচ্ছে? আপনাদের উদ্দেশ্য কী?’

দ্বিতীয় বিপ্লবের কথা তুলে ধরে রিফাত রশিদ বলেন, ‘সেকেন্ড রেভ্যুলেশন, নতুন সংবিধান, সেকেন্ড রিপাবলিক, বিপ্লবীদের নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র..’

সমন্বয়ক রেজওয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, ‘বিপ্লবী সরকার গঠনে বাধা দিচ্ছে কারা? ছাত্রদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগে বাধা কারা? আমরা জুলাইয়ের পক্ষে আবার লড়াই করতে প্রস্তুত।’

কেএইচ/এমজে