ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের  প্রতীকী ফাঁসি দিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। 

সোমবার (৪ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ফাঁসির মঞ্চ সাজিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতা ব্যানারে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার নেতৃত্বে এই নেতাদের কুশপুত্তলিকা ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হয়।

 

ফাঁসির মঞ্চের পর্দা উন্মোচনের পূর্বে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, যারা এই গণহত্যা-গুম-খুন করেছে এবং জাপা, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ যারা তাদের তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করেছে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। আহত নিহতদের পরিবারের কাছে জিজ্ঞেস করুন তারা এই দলগুলোকে চায় কি-না, তাহলেই উত্তর পেয়ে যাবেন।

খুনিদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এতদিনেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এই দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে হত্যাকারীদের বিচার কার্যকর করতে পারেনি। অবিলম্বে এসব ফ্যাসিবাদী খুনিদের ফাঁসি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে কারাগারে যেন তাদের জামাই আদর না করা হয়। যারা শহীদ এবং আহত হয়েছেন তাদের স্পিরিটের সঙ্গে বেইমানি হতে দেব না।

বিপ্লবী সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান আইন মেনে হয়নি, তাই আইনের বাইরে গিয়ে সরকারকে অ্যাকশন নিতে হবে। জাতীয় ঐকমত্যে সরকার/বিপ্লবী সরকার গঠন করতে হবে। গণভবনের মতো জাতীয় পার্টির কার্যালয়কে জুলাই স্মৃতি সংগ্রহশালা বানাতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন করে ফ্যাসিবাদী প্রথার বিলোপ সাধন করতে হবে না হলে জনগণকে ভুগতে হবে।

কেএইচ/এমজে