দুর্বৃত্তদের চাপাতির কোপে ইবি শিক্ষার্থী জখম
টিউশন থেকে ফেরার পথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গুরুতর আহত অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহের আরাপপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মশিউর রহমান। তিনি লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বন্ধু নুর উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহের আরাপপুরে মশিউর (ভুক্তভোগী) টিউশনি শেষ করে ক্যাম্পাস বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় সেখানে স্থানীয় দুটি পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। তাদের একটি পক্ষ মশিউরকে প্রতিপক্ষ ভেবে তার ওপর অস্ত্রসস্ত্রসহ হামলা করে। তার হাঁটুর নিচে ধারালো চাপাতি দিয়ে আঘাত করা হয়।
এ ছাড়াও হাতের কবজি, কনুই ও পাসহ তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এরপর এক পথচারী তাকে আহত অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে মশিউর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বন্ধুর ওপর অতর্কিত এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মশিউর রহমান বলেন, টিউশনি শেষে ক্যাম্পাস বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় সেখানে স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় তারা আমাকে প্রতিপক্ষ ভেবে হামলা করে। তখন আমি তাদের বলি, আমি ছাত্র এখানকার কেউ নই। তারপরও তারা আমার ওপর হামলা করে। পরে আমাকে তারা সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়। আহত অবস্থায় এক পথচারী আমাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। আমি এই হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিক্ষার্থীকে হামলার বিষয়টি আমরা জেনেছি। ওই শিক্ষার্থী স্থানীয় দুটি পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান। তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
রাকিব হোসেন/এএমকে