‘সম্প্রতি চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু ইস্যুতে উসকানিমূলক সংবাদ প্রকাশ ও জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার সাফাই গেয়ে কলাম প্রকাশ’ করেছে দাবি করে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল গেটে পত্রিকা দুটি পোড়াতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এসময় তারা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পত্রিকা দুটি বয়কটের ডাক দেন।  

এদিকে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলগুলোতে পত্রিকা দুটি পোড়ানোর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব ইমরোজ বলেন, প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার পত্রিকা দুটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন স্পর্শকাতর ইস্যুতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উসকানিমূলক সংবাদ প্রচার করে আসছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পত্রিকা দুটি এদেশে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোয়েন্দাসংস্থার হীন উদ্দেশ্যকে অত্যন্ত নগ্নভাবে সমর্থন করে চলেছে। 

জুলাই অভ্যুত্থানেও তারা গণহত্যার সাফাই গেয়েছে কতগুলো সংবাদ কলামে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে উপেক্ষা করে ফ্রন্ট পেইজ ভর্তি ভারতীয় মোটরবাইক 'রয়েল এনফিল্ড' এর বিজ্ঞাপন দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে। এছাড়া চট্টগ্রামের সংখ্যালঘু ইস্যুতে তারা উসকানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করেছে। 

তিনি বলেন, জনমতের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় রেখে তারা তাদের নীতিগত কোনো পরিবর্তন করেনি। তারা প্রতিনিয়তই পতিত ফ্যাসিবাদ এবং বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রেসক্রিপশনে উসকানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করেই যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গত পরশু সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের প্রতি ক্ষোভ নতুনভাবে বৃহৎ পরিসরে উসকে দেয়। বলা চলে এ প্রতিবেদন আগুনে ঘি ঢালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা তাদের দৌরাত্ম্য সম্পর্কে পূর্বাবগত ছিল। গতকাল রাতে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এক দল শিক্ষার্থী তাদের হীন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ স্বরূপ হলের পত্রিকা রুম থেকে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। 

কেএইচ/এমএসএ