দুই ডজন নারীর সঙ্গে চবি শিক্ষার্থীর প্রতারণার অভিযোগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এইচ বি রাফসানের বিরুদ্ধে দুই ডজন নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ফুলকলী বেগম (ছদ্মনাম) প্রক্টর অফিসে রাফসানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।
বিজ্ঞাপন
পরে অভিযুক্তের মোবাইল চেক করে অন্যান্য নারীদের সঙ্গে তার প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসে। সেখানে দেখা যায়, এক নারীর কাছে রাফসান নিজেকে এতিম দাবি করে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে টাকা ধার নিয়েছেন এবং টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করেছেন। চাকরি পেলে বিয়ে করবেন দীর্ঘদিন ধরে এমন আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন আরেক নারীকে। আবার এক নারীর কাছে নিজের বাবা-মা স্ট্রোক করেছে দাবি করে সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন অনেক প্রতারণার প্রমাণ ঢাকা পোস্টের হাতে এসেছে।
এছাড়া প্রক্টর অফিসে দেওয়া ফুলকলী বেগমের (ছদ্মনাম) লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই নারী দুই বছরের সিনিয়র হওয়ার পরও অভিযুক্ত তাকে পরিবারিক অসহায়ত্বের কথা বলে তার প্রতি আগ্রহী করে তোলেন। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অভিযুক্তের মায়ের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ ছিল ফুলকলীর (ছদ্মনাম)। একবার অভিযুক্ত অসুস্থ হলে চিকিৎসার সময় তার পাশে থাকা অবস্থায় অন্যান্য নারীদের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি বুঝতে পারেন ফুলকলী। পরে এ বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন রাফসান। এরপর এক বছর পর ফুলকলী রাফসানকে ক্যাম্পাসে দেখতে পেলে বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকের সহায়তায় তাকে প্রক্টর অফিসে ধরে আনেন।
আরও পড়ুন
পরে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ অভিযুক্তকে হাটহাজারী থানায় পাঠালে ভুক্তভোগী ফুলকলী জিডি না করায় শুধু মুচলেকা দিয়ে রাফসানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভুক্তভোগী আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তার মোবাইলে ভুক্তভোগীসহ প্রায় দুই ডজনের বেশি নারীর সঙ্গে প্রতারণার প্রমাণ সামনে আসে। লিখিত অভিযোগপত্রটি ছাত্র উপদেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলে যাবে। তারপর বাকিটা আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেব। এখন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী জিডি অথবা মামলা না করায় মুচলেকা নিয়ে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
আতিকুর রহমান/এফআরএস