চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময় তারা সংবিধান বাতিল এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি জানান।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় আন্দোলনকারীরা ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’; ‘আমার ভাই কবর, খুনি কেন ভারতে’; ‘ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ, করতে করতে হবে’; ‘এক দুই তিন চার, ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস ছাড়’; ‘স্বৈরাচারের দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ‘মুজিববাদ নিপাত যাক, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’; ‘ছাত্রলীগ/সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, এই মুজিববাদ যেখানে প্রবেশ করেছে সেই জায়গাকে পচিয়ে বের হয়েছে। এই মুজিববাদ ৭২’ এর সংবিধানকে কলুষিত করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ফ্যাসিস্টদের দালালরা এই দেশে থাকতে পারবে না। শেখ হাসিনার বিচার এই বাংলার জমিনে হবে। এই ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা একটা নতুন সংবিধান, একটি নতুন বাংলাদেশ। এসময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার দাবি জানান।

সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা ২৪’ এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর দিলেও এখনও তাদের মূলোৎপাটন করতে পারিনি। এই বাংলার মাটিতে এখনও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে। মো. সাহাবুদ্দিন, যিনি স্বৈরাচারের দোসর ছিলেন আমরা তার পদত্যাগের দাবি জানাই। অন্যথায় এই ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে আরও কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। এসময় তিনি গত ১৬ বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পদচ্যুত করার জোর দাবি জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সানজিদা আফিয়া অদিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ, হাসিব আল ইসলাম, আব্দুল হান্নান মাসুদ, আব্দুল কাদের, হাসনাত আবদুল্লাহ বক্তব্য দেন।

কেএইচ/এসএসএইচ