শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবি করেছে একতার বাংলাদেশ নামের একটি প্লাটফর্ম।

শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন একতার বাংলাদেশের সদস্য সচিব তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী। এসময় একতার বাংলাদেশের আহ্বায়ক প্লাবন তারিক ও সদস্য রাফসান বিন হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে তাহমিদ আল মুদাসসির বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, একটি কুচক্রীমহল নতুন বাংলাদেশের মানুষের একতাকে বিনষ্ট করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুরের মাধ্যমে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নাগানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। এবছরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। 

বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসা খবরে দেখা গেছে, রাজবাড়ির সজ্জনকান্দা মধ্যপাড়া, কিশোরগঞ্জ শহরের শ্রী শ্রী জিউর আখড়া, বরিশাল বাকেরগঞ্জ, পাবনার সুজানগর, ময়মনসিংহের গৌরিপুর, রংপুরের লাহিড়ির হাট, ফরিদপুরের ভাঙা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জয়নগর-মিরপাড়া, বরগুনার ফুলঝুড়ি, শেরপুর শ্রীবর্দী, ঢাকার ধামরাই, টাঙ্গাইলের বাসাইলে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় আমরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এ ঘটনাগুলোকে আমরা জুলাই বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে ধর্ম, বর্ণ ও রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে একতার যে মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে তার অন্তরায় হিসেবে দেখছি।

দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙচুরের এসব ঘটনায় প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতেও এধরনের ঘটনার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কারো বিচার হয়নি। ইতোপূর্বে এ ধরনের যত ঘটনা ঘটেছে সবগুলোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ব্যবহৃত হয়েছে। একপক্ষ এধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আরেক পক্ষের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে। এসব ঘটনার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হয়েছে কি না আমরা জানতে পারিনি।

দোষীদের দ্রুত আইনের আওতার আমার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বিচারহীনতার এ সংস্কৃতি চলতে পারে না। অবিলম্বে এ ধরনের হীন কাজে যারা যুক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

কেএইচ/পিএইচ