১৭ বছরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ১৭ বছরে পদার্পণ করেছে। ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর রংপুর শহরের অদূরে পার্ক মোড় এলাকায় ৭৫ একর জমি নিয়ে যাত্রা শুরু করে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি।
২০০৯ সালের ৪ এপ্রিল মাত্র ৩০০ শিক্ষার্থী ও ১২ জন শিক্ষক নিয়ে রংপুর শহরের ধাপ লালকুঠি এলাকায় টিচার্স ট্রেনিং কলেজের (টিটিসি) অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে এ ক্যাম্পাসে ছয়টি অনুষদের অধীনে ২২টি বিভাগে শিক্ষাদান কার্যক্রম চলছে। এছাড়া উচ্চতর গবেষণার জন্য রয়েছে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক রয়েছেন ১৯৫ জন। শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে আট হাজার। নির্মাণাধীন একটি ছাত্রী হলসহ মোট চারটি আবাসিক হল, প্রশাসন ভবন, চারটি একাডেমিক ভবন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, মসজিদ, ক্যাফেটেরিয়া ভবনসহ আবাসিক স্থাপনা রয়েছে।
মনোরম সবুজ ক্যাম্পাস
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রয়েছে ৩৫০ প্রজাতির ৪০ হাজার ফলজ, বনজ, ওষধি ও দুর্লভ প্রজাতির বিভিন্ন গাছ। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকলেই দেখা মিলবে কৃষ্ণচূড়া সড়ক, এ সড়কের দুই পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছ ডালপালা মেলে ধরেছে। দেবদাড়ু সড়কের গাছগুলো মন কেড়ে নেয় যে কারও। এছাড়াও একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ভিসি রোড সর্বত্রই দেখা মেলে সবুজ সারির মনোরম দৃশ্য। গাছের ছায়াঘেরা এ ক্যাম্পাসটি অল্প দিনেই সবুজ ক্যাম্পাস হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে।
যেভাবে প্রতিষ্ঠা হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে রংপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে। বিভিন্ন সরকারের আমলে রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবতার ভূমিতে উপনীত হতে পারেনি স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে দেশের ৩০তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। নানান ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি পার করেছে ১৬ বছর।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে কর্মসূচি
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দিবসটি উদযাপনে শুরুতে জাতীয়, ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক উদ্বোধন করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এরপর আনন্দ শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়া আসরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
শিপন তালুকদার/এমটিআই