দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, আমি মামলা করার জন্য কুষ্টিয়ায় এসেছি। আমার মামলার ১ নম্বর আসামি হবেন শেখ হাসিনা। মামলার পর মামলার ভিত্তিতে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমি দাবি জানাবো।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের কাঁধে চেপে বসা জালেমশাহীর পতন ঘটেছে। ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে যে ফ্যাসিস্ট ও ইসলামবিরোধী সরকার ছিল সেটি সরাসরি দিল্লি থেকে পরিচালিত হয়েছে। দুটো লক্ষ্যে ছাত্র জনতার আন্দোলন হয়েছিল। প্রথম লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন ঘটানো। দ্বিতীয়ত ভারতীয় আধিপত্যবাদকে নির্মূল করা। আমাদের ১ম লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়টা আমরা এখনও অর্জন করতে পারিনি। আমাদের সুযোগ এসেছে, ভারতীয় আধিপত্যবাদকে চিরতরে উৎখাত করতে হবে। 

ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে আবরার শহীদ হয়েছে। আমাদের এ লড়াইকে অব্যাহত রাখতে হবে— উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার জন্য আমি সাত দিনের সময় দিয়েছিলাম। রোববার সেই সময় শেষ হবে। রোববারের মধ্যে যদি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা না হয় তাহলে সোমবার থেকে আমার দাবির সমর্থনে আপনারা এখানে আন্দোলন শুরু করবেন। নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আমি ঢাকায় মাঠে থাকবো। আপনারা এখানে মাঠে থাকবেন। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও আমার দেশ পত্রিকার নগর সম্পাদক এম আব্দুল্লাহ, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মেজর আব্দুল ওয়াহাব মিনার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আগে ছাত্রলীগ নামক সন্ত্রাসীদের থেকে আগে মুক্তি পেতে হবে। বাংলাদেশের একমাত্র জঙ্গি সংগঠন হলো এই ছাত্রলীগ। আগে ছাত্রলীগকে দিয়ে শুরু করি পরে আওয়ামী লীগকে ধরবো। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত তাদের শক্তি দেখাতে পারেনি। সরকার খুব স্লো। তারা আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এখনও কোনো অর্থবহ একশন নিতে পারেনি।

রাকিব/এসএম