ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদে ও অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ঘুরে আবারও নতুন কলাভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘সীমান্তে হত্যা কেন, জবাব চাই দিতে হবে’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দেবে জনগণ’, ‘ভারতীয় প্রকল্প, চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. সিফাতুল্লাহ বলেন, স্বৈরাচার পতনের পর আমাদের বিরুদ্ধে গুজব রটানো হয়েছিল যে আমরা নাকি সংখ্যালঘুদের হত্যা করছি। তবে সত্য হলো, বাংলাদেশ কখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বা হত্যার পথ অবলম্বন করেনি। বরং ভারত তার নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে। স্বৈরাচার পতনের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমেই একটি সরকার এসেছে। আমরা প্রত্যেক হত্যার বিচার দাবি করছি। আমরা দিল্লির তাঁবেদার হতে চাই না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমরা ভারতের বন্ধু হতে চেয়েছি কিন্তু ভারত প্রতিদানে আমাদের লাশ ও বন্যা দিয়েছে। আমাদের দুই দেশের অভিন্ন নদীর অধিকার সমানভাবে রক্ষা করা উচিত। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে তারা আমাদের পানি দেয় না, বর্ষার মৌসুমে পানি দেয়। ফলে আমরা খরা ও বন্যার শিকার হচ্ছি। আমি মোদি সরকারকে বলতে চাই, আপনারা নদী আইন লঙ্ঘন করছেন, এর পরিণতি ভালো হবে না। যদি আর সীমান্তে লাশ পড়ে, আমরা ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও করব। আমাদের বন্ধু হয়ে থাকুন, আগ্রাসনের পথে হাঁটবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ওয়ায়েজ রিজন, স্বপন আহমেদ, ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দিন আয়ান প্রমুখ।

এসএসএইচ