বাংলাদেশের আবহমানকাল ধরে গ্রাম বাংলায় চর্চিত নানামুখী লোকসংস্কৃতির চর্চা ও মূল্যায়নের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফোকলোর অ্যাসোসিয়েশন (ডুফা) আত্মপ্রকাশ করেছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।

নবগঠিত ফোকলোর অ্যাসোসিয়েশনে নৌশিন নাওয়াল চৌধুরী হৃদিকে সভাপতি ও মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৮ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।

নবমনোনীত সভাপতি নৌশিন নাওয়াল চৌধুরী হৃদি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

কমিটির চিফ মডারেটর হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহবুব কায়সার এবং মডারেটর হিসেবে লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া। সংগঠনের উপদেষ্টা পর্ষদে রয়েছেন মোহাম্মদ আজম, তুহিন খান, লুৎফর রহমান, আহনাফ সাঈদ খান এবং উম্মে সালমা সায়মা, জাহিদ আহসান।

বিজ্ঞপ্তিতে নেতারা বলেন, আবহমানকাল ধরে গ্রাম বাংলায় চর্চিত নানামুখী লোকসংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, লোকশিল্পকে লালন এবং বিচিত্র জাতিসত্তার সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির যথাযথ মূল্যায়ন ও উদযাপন করা এই সংগঠনের উদ্দেশ্য। ফ্যাসিবাদী আমলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিকে কোণঠাসা ও প্রান্তিকীকরণ করা হয়েছে। সে সংস্কৃতিগুলো তুলে ধরার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতির স্বকীয়তা রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফোকলোর অ্যাসোসিয়েশন বদ্ধপরিকর। 

তারা আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটেছে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের সংস্কার ও পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুনর্গঠন ও সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে টিএসসিকেন্দ্রিক সংগঠনগুলো সাংগঠনিক ও কাঠামোগত সংস্কার পরিলক্ষিত হচ্ছে। সেই সংস্কারের পথ ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফোকলোর সোসাইটি পুনর্গঠিত হয়ে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফোকলোর অ্যাসোসিয়েশন’ নামে আত্মপ্রকাশ করছে। সংগঠনটির সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করছি।

কেএইচ/জেডএস