গ্রিন ইউনিভার্সিটি
দেশে প্রথমবারের মতো এআই অ্যান্ড ডাটা সায়েন্সে অনার্স চালু
প্রযুক্তির দৌড় বাড়ছে, বাড়ছে উচ্চশিক্ষায় এর পরিসরও। বর্তমানে অবস্থাটা এমন হয়ে দাঁড়াচ্ছে যে, জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ— সবখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দখলদারি। বিষয়টিকে অনুধাবন করেই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ডাটা সায়েন্সে স্নাতক কোর্স চালু করতে যাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। পাশাপাশি একই সময়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল আজাদ, রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (নেভি) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, এলপিআর এবং এআই অ্যান্ড ডাটা সায়েন্স বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বিষয় হিসেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নতুন হলেও ইতোমধ্যে এর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা ফুটে উঠেছে। গত দুই-তিন বছর ধরে এর জনপ্রিয়তা যেভাবে বাড়ছে, তাতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটাই ভবিষ্যৎ। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে, মানুষ এখন গুগল ভুলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দিকে ঝুঁকছে। এটা নিয়ে আমাজনের মতো আন্তর্জাতিক আইটি প্ল্যাটফর্ম থেকে বেসিক কোর্সও অফার করা হচ্ছে; যাতে আগামী দিনে প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেকে তুলে ধরা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, এআইয়ের মাধ্যমে মানুষের জ্ঞানকে মেশিনের মধ্যে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হচ্ছে। ফলে প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়েছে, মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে। আমরা সবাই পাঠাও-উবার ব্যবহার করি, কিন্তু জানি না এই অ্যাপগুলো কীভাবে কাজ করে। এআই গ্র্যাজুয়েটরা এসব বিষয় নিয়েই কাজ করবে। তারা কম্পিউটার বিজ্ঞানের গভীর থেকে গভীরতর স্তরে প্রবেশ করবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রশ্ন উঠতেই পারে, গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স তো চালু রয়েছেই, তাহলে এআই কেন? এর উদ্দেশ্য হলো- চাকরিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দূরত্ব কমিয়ে আনা। একইসঙ্গে দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে প্রযুক্তির বাজারকে সমৃদ্ধ করা।
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল আজাদ এআই, ডাটা সায়েন্স এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কারণে বিশ্বব্যাপী বাজারের উন্নতি-অগ্রগতি ও ভবিষ্যতের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র এআইয়ের কারণে বিশ্বে ৩৬ শতাংশ চাকরির বাজার উন্নত হয়েছে।
বক্তব্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন তিনি।
রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (নেভি) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে এআইয়ের ব্যবহার ইতোমধ্যে বিস্তৃত পরিসরে শুরু হয়ে গেছে। এটি আমাদের রোগ নির্ণয় করছে, চিকিৎসার আয়োজন করছে এমনকি সম্প্রতি ট্রাফিক কন্ট্রোলিংও করছে।
সভার শুরুতে এআই এবং এর ওপর স্নাতক কোর্স চালুর বিষয়গুলো তুলে ধরেন এআই অ্যান্ড ডাটা সায়েন্স বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান। তিনি বলেন, এটি ধরে নেওয়া হয়েছে যে, আগামীতে যদি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়, তবে সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এআই অবশ্যম্ভাবী।
কেএ