জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের রেললাইনের পাশ দিয়ে যাওয়া মাটির সড়কটি পাকা হতে নীতিগতভাবে আর কোনো বাধা নেই। জবির সংশ্লিষ্টদের ও এলাকাবাসীর ব্যবহারের জন্য এই সড়কটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এসব বিষয় নিশ্চিত করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কেরানীগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের দক্ষিণ দিকের সীমানা হয়ে কৃষ্টনগড় পোড়াহাটি এলাকার সংযোগকারী প্রায় ১.৫ কি.মি. মাটির সার্ভিস সড়ক। এই সড়কে জবির তত্ত্বাবধানে ভবিষ্যতে পাকা সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে জবি-সংশ্লিষ্টদের ও এলাকাবাসীর ব্যবহারের জন্য অনুমতি প্রদান করতে নীতিগতভাবে কোনো বাধা নেই মর্মে রেল কতৃর্পক্ষের মৌখিকভাবে নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্পের কাজের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি পরিবহনে ব্যবহার করা হতো রেললাইন পার্শ্ববর্তী মাটির রাস্তা দিয়ে। কিছুদিন আগে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে এ সড়কের মাটি কেটে নিয়ে যায় অজ্ঞাতরা। পরবর্তীতে জবি সংস্কার আন্দোলনের প্রতিনিধিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সড়কটি পরিদর্শনে যান এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা দ্রুত মেরামত এবং সংরক্ষণের প্রয়োজন উদ্যোগ রেল কর্তৃপক্ষ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। পাশাপাশি অফিসিয়াল প্রক্রিয়ায় সুবিধাজনক সময়ে উপাচার্য, রেলওয়ের মহাপরিচালক এবং পদ্মাসেতু প্রকল্পের পিডি যৌথভাবে এলাকার পরিদর্শন করবেন।

এ বিষয়ে জবি সংস্কার আন্দোলন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নূর নবী বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রেললাইনের রাস্তাটি এখন থেকে আবার ব্যবহার করতে পারবো। আমাদের প্রক্টর স্যার জোর ভূমিকা রেখেছেন। রাস্তাটি পাকা হলে এটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের উপকারে আসবে।

এমএল/এএমকে