ডি ইউনিটে ১১ আসন ফাঁকা
ইবিতে ভর্তির ২য় মেধাতালিকার সাক্ষাৎকার ৮ অক্টোবর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ‘ডি’ ইউনিটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের প্রথম মেধাতালিকার ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তি শেষে এই ইউনিটের ৪টি বিভাগের মধ্যে আরবি বিভাগে এখনো ১১টি আসন ফাঁকা আছে। আসন ফাঁকা দ্বিতীয় মেধাতালিকার নতুন ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সাক্ষাৎকার আগামী ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ‘ডি’ ইউনিট সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট ইউনিটের সমন্বয়ক সূত্রে, ২য় মেধাতালিকার সাক্ষাৎকার আগামী ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বিভাগ পরিবর্তনকারীদের আগামী ৬ অক্টোবরের মধ্যে ভর্তি সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে না পারলে পরবর্তী ভর্তির কোনো সুযোগ থাকবে না।
গত ১১ মে স্বতন্ত্রভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটের অধীন চারটি বিভাগে (আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ) মোট ৩২০টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় কৃতকার্য হয় ১ হাজার ৪০৬ জন ভর্তিচ্ছু। গত ১ জুন থেকে ৩ জুন ‘ডি’ ইউনিটভুক্ত ৪টি বিভাগে ভর্তিচ্ছুদের প্রথম মেধাতালিকার সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম মেধাতালিকার ভর্তিপ্রক্রিয়া শেষে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ১১টি আসন ফাঁকা রয়েছে। তবে এ ইউনিটের বাকি তিনটি বিভাগ আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ এবং আল-হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজের সব আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভর্তি ও এ সম্পর্কিত যাবতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (iu.ac.bd) পাওয়া যাবে।
ইবির সব বিভাগে পরীক্ষা গ্রহণের অনুমোদন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সব বিভাগকে পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিভাগ ও অফিসসমূহকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ২৬৫তম সিন্ডিকেট (জরুরি) সভার আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপাচার্য শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণের অনুমোদন ছিল না। পরীক্ষাসহ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে কয়েকদফায় আন্দোলনও করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ ৮৪ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়। ক্লাসের পর এবার পরীক্ষা শুরুর উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বন্ধের কারণে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে এবং শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে নতুন প্রশাসন সক্ষম হবে এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাসহ অন্তত ১২ জন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি পদত্যাগ করেছেন।
এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যত পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করেছেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। তবে পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ না থাকায় তিনি অনুমতি দেননি। নতুন উপাচার্য এসে জরুরি সিন্ডিকেট করে এ সিদ্ধান্ত নেন।
এর আগে গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তারা সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন এবং জুলাই থেকে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের আন্দোলনের ফলে ইবির সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এরপর ছাত্র আন্দোলনের সময় বন্ধ থাকে ক্যাম্পাস। দীর্ঘ আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষার বাইরে ছিল শিক্ষার্থীরা।
রাকিব/এসএম