বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৬ মাসেও প্রকাশ হয়নি পরীক্ষার ফল, বিভাগে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা
পরীক্ষা দেওয়ার ৬ মাস পার হয়ে গেলেও ফলাফল দিতে পারেনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি রসায়ন বিভাগ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে বিভাগীয় প্রধানকে অবরুদ্ধ করেন বিভাগের স্নাতকোত্তর থিসিস সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা করিম ভবনে (যে ভবনে রসায়ন বিভাগ রয়েছে) তালা দিয়ে দেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন চৌধুরীর খাতা না জমা দেওয়ার কারণে ফলাফল আটকে রয়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা করিম ভবনে তালা দেন। এতে বিপাকে পড়েন অন্য শিক্ষার্থীরা। দুপুর ২টায় ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ সময় পরীক্ষার্থী শিক্ষার্থীদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ২৪ মার্চ আমরা পরীক্ষা শেষ করেছি। অক্টোবরের ৭ তারিখ আমাদের থিসিসের জন্য ফর্ম পূরণের নোটিশ দিয়েছেন। কিন্তু ফলাফল ছাড়া ফর্ম পূরণ করা যাবে না। ড. মো. আখতার হোসেন চৌধুরী আমাদের দুটি কোর্সের শিক্ষক ছিলেন। তার সেই দুটি কোর্সের খাতা জমা না দেওয়ার কারণে ফলাফল দিতে দেরি হচ্ছে। তিনি কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। এমনি এখন তিনি অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন। আমরা আজকেই ফলাফল চাই।
কৃষি রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মৌসুমী আকতার বলেন, তাকে বিভাগ থেকে ৩ বার নোটিশ দিয়ে খাতা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি খাতা জমা দেননি। সর্বশেষ ৩ সেপ্টেম্বর তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি খাতা জমা দিলেই আমরা ফলাফল প্রকাশ করতে পারব।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
উপাচার্যের আশ্বাসে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দুপুর ২টার আগেই তালা খুলে দেন। এতে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসেন।
পরে কৃষি রসায়ন বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষার্থী এবং বিভাগের শিক্ষকদের আলোচনা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমি দ্রুত ফলাফল চাই। এজন্যে আগামী ১ অক্টোবর দুপুর ১২টার মধ্যে বিভাগীয় প্রধানের কাছে খাতা জমা দিতে হবে এবং ২ অক্টোবর ফলাফল দিতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে আমি প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।
মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর/আরএআর