বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ বলেছেন, কোনো ব্যক্তি বা দলের কথার ভিত্তিতে দেশে ছাত্রশিবির রাজনীতি পরিচালনা বা বন্ধ করবে না। দেশের প্রশাসন নির্ধারণ করবে ছাত্রশিবির রাজনীতি করবে কি-না। তাছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র শিবির থাকবে কি-না সেটা নির্ধারণ করবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

ফরহাদ বলেন, কোন দল কী বলল সেটার ওপর আমাদের রাজনীতি করা বা না করা নির্ভর করে না। কোনো দল চাইলে আমরা রাজনীতি করব আর কেউ না চাইলে রাজনীতি করব না সেটার সুযোগ নেই। দেশে আমরা রাজনীতি করব কি-না সেটা নির্ধারণ করবে প্রশাসন। আর আমরা ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনীতি করব কি-না তা শিক্ষার্থীরা নির্ধারণ করবে।

ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ভেতরে থেকে শিবির শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলব, শুধু ভাসা ভাসা তথ্য দিয়ে, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া এমন কথা বলবেন না। এমন যদি কখনো হয়ে থাকে আপনারা প্রমাণ পান সেটা আমাদের দেবেন। যেখানে বিগত বছরগুলোতে শিবির সবচেয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, শিবির সবচেয়ে মজলুম সংগঠন, সেখানে প্রমাণ ছাড়া এমন প্রশ্ন করা ভ্যালিড নয়।

‘শিবির যখন মার খেত তখন কোনো দল কথা না বললেও এখন শিবিরের আত্মপ্রকাশে তারা বিরুদ্ধে কথা বলছে’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরহাদ বলেন, আমাদের ওপর নির্যাতনের সময় আমাদের পক্ষে কেউ একেবারেই কথা বলেনি এমন নয়। কিছু সুবোধ সম্পন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন যারা শিবিরের উপর টর্চারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এখন অনেকেই আমাদের বিরুদ্ধে বলছেন, তাদের বলব, কোন ভাসা ভাসা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে না বরং শিক্ষার্থীরা কী চায়, আসলেই শিবির কেমন সেটা জেনে বুঝে কথা বলবেন। এই আন্দোলনে যেমন সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রেখে অংশ নিয়েছিলেন, সামনেও এ সম্পর্ক বজায় থাকবে বলে আশা করি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ আন্দোলন কারও ব্যক্তিগত আন্দোলন ছিল না। এখানে সকল দল মত নির্বিশেষে সবাই অংশগ্রহণ করেছে। একটা কমন টার্গেটে সবাই মাঠে ছিল। প্রথমে সেটা কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল, পরে শিক্ষার্থীরা শহীদদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। এরপর সেই দাবি মেনে না নেওয়ায় সরকার পতনের আন্দোলন হয়েছে। এখানে কোনো দলের আলাদা ক্রেডিট নেওয়ার সুযোগ নেই। 

কেএইচ/এসকেডি