আন্দোলনে নিহত কাইয়ুমের পরিবারকে ৭ লাখ টাকা দিল কুবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত আব্দুল কাইয়ুমের পরিবারকে ৭ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে নিহত কাইয়ুমের মায়ের হাতে ৭ লাখ টাকার চেক তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। এর আগে দুপুর ১২টায় কাইয়ুম স্মরণে সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, নবনিযুক্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এআইএস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম, বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এ সময় উপাচার্য ড. হায়দার আলী বলেন, দেশের সব জায়গায় বৈষম্য বিরাজমান ছিল। ছাত্ররা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদেরকে নতুনভাবে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আমরা আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে অনিয়মগুলো দূর করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকব।
তিনি আরও বলেন, শহীদ আব্দুল কাইয়ুম স্মরণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্মৃতি চিহ্ন স্থাপনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশের জন্য জীবন দিয়ে আব্দুল কাইয়ুম তার যে ভূমিকাটুকু ছিল সেটা পালন করে গেছে। কিন্তু আরও যে লাখ-কোটি কাইয়ুম রয়েছে তাদের কাছে দেশটাকে রেখে গেছে। আর যাতে স্বৈরাচারের হাতে দেশ না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে এবং সকল শহীদসহ আব্দুল কাইয়ুমকে স্মরণ রেখে আমরা এই দেশটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখব।
ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, আমরা সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখব। এই দেশটাকে যাতে আর কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য আমাদের দৃঢ় চেতনা জাগ্রত করে সজাগ থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ুম গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী গণঅভুত্থানে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকালীন সময়ে সাভার এলাকায় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাভার এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হন। তিনি সাভারের সিআরপি হাসপাতালের পাশের টগরমুড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ কফিল উদ্দিনের ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে কাইয়ুম ছিলেন সবার ছোট। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্টের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরিফ আজগর/এমজেইউ