জাবি ছাত্রলীগনেতাকে পিটিয়ে হত্যা: বহিষ্কারাদেশ তালিকা সংশোধন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা ও বহিষ্কারাদেশের তালিকায় সংশোধনী আনা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কারাদেশের তালিকায় ভুলবশত ইতিহাস বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়েরের নাম যুক্ত করা হয়েছে। তার নাম প্রত্যাহার করে ফার্মেসি বিভাগের ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩৯ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি আজকের প্রশাসনিক সভায় আলোচিত হয়। এ সময় প্রক্টরিয়াল টিম কর্তৃক উপস্থাপিত সংশোধিত প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্ত আট শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ তালিকায় সংশোধন করা হয়। পূর্বের প্রশাসনিক সভায় প্রক্টরিয়াল টিম কর্তৃক উপস্থাপিত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত অভিযুক্তদের তালিকায় বর্ণিত ৪ নম্বর অভিযুক্ত ইতিহাস বিভাগের ২০১৪–১৫ শিক্ষাবর্ষের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদের নাম ভুল হওয়ায় সেটি প্রত্যাহার করা হয় এবং প্রক্টরিয়াল টিম কর্তৃক উপস্থাপিত সংশোধিত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রশাসনিক সভায় বিধিমোতাবেক ফার্মেসি বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এর আগে শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন। তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাজন মিয়া ও ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজু আহাম্মদ,ইংরেজি বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মাহমুদুল হাসান রাইয়ান ও ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী হামিদুল্লাহ সালমান, ইতিহাস বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আতিকুজ্জামান আতিক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহাগ মিয়া এবং বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আহসান লাবীব। পরে ওইদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় বহিষ্কৃত আট শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
মেহেরব হোসেন/