বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) পুনর্গঠন ও চেয়ারম্যানের অপসারণ এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ ও অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করার সুপারিশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা, ‘ফ্যাসিস্ট হটায় ছাত্ররা, সুবিধা নেয় আমলারা’, ‘৩৫ কিংবা ৬৫ মানি না মানবো না’, ৩০ এর অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, সোহরাবের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, এই ৩৫/৬৫ বয়সসীমা যদি কার্যকর করা হয় তাহলে আমরা দেশকে তৃতীয় বারের মতো স্বাধীন করব। আমরা এই দাবি কখনো মেনে নেবো না৷ আমলারা এদেশে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য বৈষম্য শুরু করেছে। আপনারা যদি এই প্রহসন বন্ধ না করেন ছাত্রসমাজের ডিরেক্ট অ্যাকশন শুরু হবে। 

তারা বলেন, এতদিন স্বৈরাচার সরকার চাকরিতে গলাকাটা ফি দিয়ে রেখেছিল। এটা অনতিবিলম্বে কমাতে হবে। বর্তমানে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাবের অনেক কুকীর্তি সবার জানা। এই সোহরাব বেকার বা শিক্ষার্থীবান্ধব না। সে স্বৈরাচারের দোসর। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে৷ অন্যথায় আমরা লাগাতার কর্মসূচি গ্রহণ করব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দিদার শরীফ বলেন, এই স্বৈরাচারের আমলে আর আমরা পরীক্ষা দিতে চাই না৷ তার আমলে পরীক্ষা দেওয়া মানে বৈষম্যের শিকার হওয়া। তার মিডিয়ায় বলে তাদের পদ খালি কিন্তু যখন সার্কুলার হয় তখন দেখা যায় কোনো আসন নেই। ১০ আসনের বিপরীতে ১০ হাজার পরীক্ষা দেয়। এদের প্রতিজনের কাছ থেকে ৬ থেকে ৭ শত টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এটা আমাদের সঙ্গে ফাজলামি করা হচ্ছে। আমরা আর এই বৈষম্য চাই না।

কেএইচ/এমএ