চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন আজকের মধ্যে না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।

মানববন্ধনে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম,  একজন সৎ, দক্ষ ও শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করুন। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি—ঢাবি, রাবি, জাবিসহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আজকের মধ্যেই উপাচার্য ও উপউপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দেবেন, নইলে আগামীকাল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। কিন্তু তারপরও শিক্ষার্থীদের দাবির তোয়াক্কা করছে না অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা আজকের মধ্যেই উপাচার্য ও উপউপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি না মানলে আমরা আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ও অফলাইন সকল ক্লাস এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেব।

প্রসঙ্গত, গত ১২ সেপ্টেম্বর গুঞ্জন ওঠে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। শিক্ষা উপদেষ্টা মুঠোফোনে তাকে এ কথা জানিয়েছেন বলে অধ্যাপক  ইয়াহ্ইয়া নিশ্চিত করেন। কিন্তু এরমধ্যে কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আজ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

আতিকুর রহমান/এএমকে