নোবিপ্রবির সেই শিক্ষককে একাডেমিক-প্রশাসনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা
শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিতে মন্তব্য করা শিক্ষার্থীর কারাবরণ-শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত ও পর্দা নিয়ে হেনস্তার অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষক বাদশা মিয়াকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ প্রদান করা হয়। বাদশা মিয়া নোবিপ্রবির আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
বিজ্ঞাপন
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন অভিযোগ এবং আন্দোলন ও বিগত কয়েকদিনে সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভাগের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন
জানা যায়, বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে এর আগে নোবিপ্রবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ফয়েজ বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননার অভিযোগ তুলে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনের ৪ বছর ধ্বংস করে দেওয়া এবং মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানোর অভিযোগ ওঠে। ওই শিক্ষার্থী প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইলের নিকট অভিযোগ পত্র জমা দেন। এ সময় পাশে তার থাকার আশ্বাস দেন উপাচার্য।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে পর্দা নিয়ে হেনস্তার অভিযোগে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ তামজিদ হোছাইন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন অভিযোগ ও বিগত কয়েকদিনে সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভাগের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাদশা মিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
হাসিব আল আমিন/এমএসএ