আন্দোলনে বাধা, মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ ছাত্র বহিষ্কার
টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা, শিক্ষার্থীদের নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের চলতি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম, ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মহা. তৌহিদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত আদেশের চিঠিতে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বহিষ্কৃতরা হলেন- ছাত্রলীগের মাভাবিপ্রবি শাখার সভাপতি ও ইএসআরএম বিভাগের শিক্ষার্থী মানিক শীল, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবীর, সহ-সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী খালেকুজ্জামান নোমান, যুগ্ম সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাওন ঘোষ, সুজন মিয়া, মো. নাইম রেজা, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা মো. সাদিক ইকবাল, রায়হান আহমেদ শান্ত, আনোয়ার হোসেন অন্তর, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা মো. আবিদ হাসান মারুফ, শাখাওয়াত আহমেদ শুভ্র, মো. আব্দুল্লাহ সরকার উৎস, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ হাসান, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান, মো. রিফাত হোসেন, সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ রাজু, ইমরানুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা রানা বাপ্পি এবং একই বিভাগের ছাত্রলীগ নেতা মো. যোবায়ের দৌলা রিয়ন।
এর আগে ১৭ আগস্ট সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের জন্য মাভাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ আগস্ট জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ওই ১৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) রেজিস্ট্রার ড. মহা. তৌহিদুল ইসলাম ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এআরএম সোলাইমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
এমজে