উপাচার্যহীন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ও ফার্মেসি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম। 

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম নিজেই ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের চিঠির আলোকে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক হিসেবে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য না আসা পর্যন্ত চলতি জরুরি দায়িত্বগুলো আমি পালন করব।

এদিকে নতুন প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করা হয়।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. সালাউদ্দিন মহসিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করা, যে সকল বিভাগের ডিফেন্স, ল্যাব ও ভাইভার জন্য ফলাফল স্থগিত রয়েছে তা বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং বিভাগগুলোর সাথে সমন্বয় করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা, সেশনজট নিরসনে সেমিস্টার ১২ সপ্তাহে আনার পরিকল্পনা করা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং আবাসিক হলসমূহে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রক্টর ও প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া এবং যে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থী ফ্যাসিবাদের পক্ষে ছিল এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, নানাভাবে হয়রানি ও হুমকি দিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি। আশা করি তিনি দ্রুতই সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ আগস্ট থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। দাবির মুখে একে একে সবাই পদত্যাগ করেন। তবে রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওএসডি করা হয়।

হাসিব আল আমিন/এমজে