প্রজ্ঞাপনের আলোকে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকের ভিত্তিতে উপাচার্যহীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক কামরুন্নাহার, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরিন উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা হতে প্রেরিত পত্রের আলোকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনের জন্য ডিনস কমিটির মধ্য হতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীকে সর্বসম্মতীক্রমে মনোনয়ন প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ডিনস কমিটির মাধ্যমে তিনি সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তার অনুপস্থিতিতে ডিনস কমিটির মধ্য হতে ক্রমানুসারে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকগণ উক্ত দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া যে সকল বিভাগের অনার্স ও মাস্টার্স চূড়ান্ত ফলাফল প্রক্রিয়াধীন তা দ্রুত সময়ে দেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসারদের বেতন রাজস্ব খাত হতে প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

নতুন প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, মন্ত্রণালয়ের চিঠির আলোকে সিনিয়র ডিন হিসেবে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য না আসা পর্যন্ত চলতি জরুরি দায়িত্বগুলো আমি পালন করবো। আর্থিক ও প্রশাসনিক কাজের বাইরে আগামী মঙ্গলবার থেকে অনলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতিদের চিঠি দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের রেজাল্টসহ যেসব পেন্ডিং কাজ রয়েছে সেগুলোও সমাধান করা হবে। আর মন্ত্রণালয়কে আমরা অনুরোধ করবো জারি করা চিঠিতিতে যেন একাডেমিক শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়। যদি না দেয় তবে আগামী সপ্তাহ থেকে সশরীরে ক্লাস চালুর করার চেষ্টা করবো। এই সময়ে আমি সকলের একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি।

রাকিব হোসেন/এমজেইউ