বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি হয়ে যাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে কার্যক্রম। ইতোমধ্যে আটকে গেছে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা। এ ছাড়া শূন্যপদ দীর্ঘস্থায়ী হলে মারাত্মক সেশনজটে পড়বে শিক্ষার্থীরা।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। বেঁধে দেওয়া আল্টিমেটামের মধ্যে গত ২০ আগস্ট উপাচার্য অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়াসহ প্রক্টরিয়াল বডির ছয়জন, চার হলের প্রাধ্যক্ষ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, লাইব্রেরিয়ান, টিএসসির পরিচালকসহ ১৯ জন পদ ছেড়ে দেন। এসব প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে এখনো কাউকে নিযুক্ত করা হয়নি।

শিক্ষার্থী আঁখি আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনেকগুলো পদের দায়িত্বরতরা পদত্যাগ করায় আমরা একাডেমিক সমস্যায় পড়েছি। আমাদের নির্ধারিত পরীক্ষা, ক্লাস পিছিয়ে যাচ্ছে বিধায় সেশনজট হবে ধরেই নিয়েছি।

আরেক শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন, উপাচার্য না থাকায় আমাদের বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল আটকে আছে। এমনকি যে পরীক্ষা আরও আগে নেওয়ার কথা ছিল তা নিতে পারছে না।

কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন তানভীর কায়ছার ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরীক্ষা নিতে পরীক্ষক নিয়োগে উপাচার্যের অনুমোদন প্রয়োজন। এখন উপাচার্য না থাকায় পরীক্ষক নিযুক্ত করা যাচ্ছে না।

রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইনে একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া আছে উপাচার্যের হাতে। তিনি ছাড়া কেউ কোনো প্রকারের আর্থিক লেনদেন করতে পারেন না। এজন্য একাডেমিক, প্রশাসনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি কর্মরতদের বেতন-ভাতা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ